ঈশিতা সাহা : এ বছরে সেপ্টেম্বরে শুরুতেই পড়ুয়াদের একাউন্টে পড়তে শুরু করেছে ১০ হাজার টাকা। করোনা কারণে প্রায় দুই বছর ধরে গোটা দেশে লকডাউন পরিস্থিতি। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমন কি চলতি বছরেও শিক্ষার বিষয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্থির হয়নি। এমতাবস্তায় পড়ুয়াদের একটি বিশাল অংশ অনলাইন শিক্ষার বিষয়ে বিপাকে পড়েছে। পরিস্থিতির জেরে অনলাইন পড়াশোনা তো দুর স্মার্টফোন কেনতেও অক্ষম। ফলে অনলাইনের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বিরত হয়েছে অনেকাংশ পড়ুয়ারা। সেদিকে নজর রেখে গতবছর উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্বের পড়ুয়াদের সুবিধার্থে ট্যাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে এত ট্যাব কেনা সম্ভব হয়নি, ফলে প্রত্যেক পড়ুয়াদের একাউন্টে ১০ হাজার টাকা ট্যাব বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে।
আস্ত হরিণ গিলতে গিয়ে মৃত্যু ১৫ ফুট অজগরের
এই সিদ্ধান্তে গত বছর জানুয়ারি মাসে এই টাকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু অনেক পড়ুয়াদেরই অভিযোগ ছিল, উচ্চমাধ্যমিকের সময় হাতে গোনা কয়েক মাস আগে ট্যাব কিনে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়। যা নিয়ে শিক্ষা মহলে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এবার সময়কে হাতে নিয়ে চলতি মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের শুরুতেই প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা পড়েছে।
ফের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে নাম উঠেছে চা বাগান শিক্ষিকার
এক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম অনুযায়ী ট্যাব কেনার পর তার রশিদ প্রথমে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হবে। সেখান থেকে রসিদটি পাঠানো হবে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে। শিক্ষার জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা ভুল জায়গায় যাতে নষ্ট না হয়, মূলত সে কারণেই গতবারের মতো এবছরও এই নিয়ম কার্যকর থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মত এই টাকার দ্বারা কয়েক হাজার পড়ুয়ারা উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।