ঈশিতা সাহা: মারণ ভাইরাসের প্রথম সন্ধান চিনের উহান শহরে মিলেছিল। যার জেরে গোটা দেশে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়েছিল স্কুল প্রতিষ্ঠানগুলি। ফের সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে স্বাভাবিক হতে শুরু করে জীবনযাপন। কিন্তু দেশটিতে যখন স্কুল প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করেছে তখন থেকে হুহু করে বেড়ে চলছে করোনা সংক্রমণ সংখ্যা। দেশটির ফুজিয়ান প্রদেশের কর্তৃপক্ষ বলেছেন, সেখানকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। এরপর ঘোষণার মাত্র চার দিনের ব্যবধানে প্রায় ১০০ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছে ফুজিয়ানে।
সম্প্রতি এক শিক্ষার্থীর বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। সেখান থেকেই এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে ধারণা। চলতি মাসে ১০ সেপ্টেম্বর তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। জানা গিয়েছে, ৩৮ দিন আগে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছেন দেশে। যদিও আসার পর ২১ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন করেছিলেন। সে সময় একাধিকবার করোনা টেস্ট করা হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। ফলে বিষয়টি স্পষ্ট নয় যে বাইরের দেশ থেকেই এই ভাইরাস ফের চীন দেশে ছড়িয়েছে।
ঘটনার পর ফের স্কুল প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় চীনে। তবে এখন থেকে বিধিনিষেধে আরো কড়া পদক্ষেপ নিতে চলছে চীন সরকার।