ঈশিতা সাহা: এবারে সিপিএম সঙ্গে বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ত্রিপুরা। বুধবার উদয়পুর-বিশালগড় এলাকায় সিপিএমের একাধিক দপ্তরে ও কার্যালয়ে আগুন জ্বালিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও হামলার সূত্রপাত হয়েছে সোমবার থেকে। এদিন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ধনপুরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এলাকার সিপিএমকর্মীরা। ঘটনায় গোটা রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। সেদিনর বিক্ষোভ মিছিলে ত্রিপুরার একাধিক আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হয়। এমনকি সংবাদ মাধ্যমে গাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ফের গতকাল নতুন করে ত্রিপুরার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বাম কর্মী সমর্থকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, এদিন আগরতলা খেলার মাঠ এলাকায় অবস্থিত সিপিএম কার্যালয়ে ও আগুন লাগিয়ে দেয় বিজেপি দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি দলীয় কার্যালয়ের সামনে একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে সিপিএমের এই দাবি প্রসঙ্গে বিজেপি পক্ষ থেকে বলা হয়, এটা আসলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।Violence & Hooliganism is so ingrained in the @BJP4Tripura govt. that today the fourth pillar of DEMOCRACY was BRUTALLY ATTACKED!
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) September 8, 2021
We stand in solidarity with the media fraternity and remain committed in our fight towards REMOVING the #DuareGunda Model of @BjpBiplab from Tripura. pic.twitter.com/6t19n7tyHN
এক বা দুই কেজি নয়, একেবারে ১৫ কেজি ওজন কমিয়ে তাক লাগালেন কমেডিয়ান ভারতী সিংহ
বুধবারের ঘটনায় প্রথমদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও সাড়াশব্দ মিলছিল না। কিন্তু পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে উঠলে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন টুইটারে। তিনি বলেন,"হিংসা এবং গুমনামি এমনভাবে বিজেপির মজ্জাগত যে তারা গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকেও নৃশংসভাবে আক্রমন করতে ছাড়ছে না।"
গাইঘাটায় গাড়ির রেষারেষির জেরে মৃত্যু মহিলার
উল্লেখ্য, পুরো টুইটারে তিনি কোথাও সিপিএমের নাম নেননি। শুধুমাত্র সাংবাদিকদের উপর হামলায় বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।