ঈশিতা সাহা: সারা শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ। কালশিটে দাগ। রক্ত ঝরা শরীর নিয়ে মেঝেতে সুয়ে তরুণী। কারণ দু-বার কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।সেই জন্য সহ্য করতে হয় প্রতিনিয়ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির শারিরীক অত্যাচার।
নির্মম ঘটনাটি গতকাল রাতে মালদার ইংরেজ পুড়ে। বাইশ বছর বয়সই নির্যাতিতা তরুণী নাম অলকা মন্ডল। স্বামী গোপাল মন্ডল সবজি বিক্রেতা। প্রতিবেশীরা বলেছেন, বিয়ের পর থেকেই অশান্তি শুরু হয় ওই পরিবারে। স্বামী গোপাল মন্ডল প্রায় দিন কাজ থেকে ফিরে এসে তার স্ত্রীকে মারধর করতো। কিন্তু নির্যাতিতা চরমে পৌঁছায় সন্তান জন্মের পর। প্রথম সন্তান কন্যা হওয়ার কারণে ওই বধুকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় বার কন্যা সন্তান হলে অলকা মন্ডলকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করে শশুড়বাড়ির পরিবার।
বৃহস্পতিবার রাতে তরুণীর আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা ওই বাড়ির দ্বারস্থ হন। দরজা ভেঙে ঢুকতেই চোখে পড়ে তরুণীকে। ঘরের মেঝে রক্ত শরীর নিয়ে কাতরাচ্ছিলেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তরুণীকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অলকার এই পরিস্থিতির জন্য তার পরিবারের লোক শ্বশুরবাড়ি বিরুদ্ধে মালদা জেলা পুলিশের অভিযোগ জানায়। সেই ভিত্তিতে পুলিশ অলকা মণ্ডলের স্বামী গোপাল মন্ডল ও তার পরিবারের লোকজনকে গ্রেফতার করে।