দীর্ঘ চার মাস পর ফের অসম-বাংলা পথে যান চলাচল

After-a-long-four-months-the-Assam-Bangla-route-was-reopened

ঈশিতা সাহা: করোনার গতিপ্রকৃতি বুঝে এ বছর মে মাসে অসম- বাংলার সংযোগরক্ষাকারী সরক গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে চার মাস পর খুলে দেওয়া হল অসম -বাংলার সমস্ত সড়কপথ ও গলিপথ। 

এতদিন যান চলাচলে লকডাউনের কারণে ক্ষতির মুখ দেখে ব্যবসায়ীরা। অসম পুলিশ ও প্রশাসন বকশির হাট বাজার ও বকশির হাট পোস্ট অফিস পাড়া সঙ্গে অসমের ছোটগুমার মধ্যে দুই প্রধান সড়ক পথ ও বসিরহাট থানা এলাকার সীমান্ত লাগোয়া বেশ কয়েকটি গলিপথে লোহার ব্যারিকেড ও বাঁশ লাগিয়ে স্থানীয় এলাকা গুলি সিল করে দেয়। এরফলে অসম রাজ্যের ওপর নির্ভরশীল বক্সিরহাটে পশুবিক্রেতারা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। দুই রাজ্যের মধ্যে এতদিন যাতায়াতের জন্য একমাত্র বালাকুঠি জাতীয় সড়কের সীমান্ত পথটি খুলে রাখা হয়েছিল।

সাইকেল মিছিলের মাধ্যমে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন

অবশেষে সমস্যা থেকে  রেহাই পেল দুই রাজ্যের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। রবিবার রাতেই পুলিশ  প্রশাসন রাস্তায় ব্যারিকেড গুলি সরিয়ে দিয়ে পারাপারের পথটি উন্মুক্ত করে দেয়। পুজোর আগে সড়কপথ খোলার খুশিতে এ দিন রাতেই স্থানীয় বাসীরা বেরিয়ে পড়েন এপার ওপারে যাতায়াতের জন্য।

বকশির হাট শাখা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিপুল দাস জানিয়েছেন, পুজোর আগে পুলিশ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন  বকশিরহাটের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি অসম প্রশাসনকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এবারে পুজোর আগে রাস্তা খুলে যাওয়ায় ব্যবসায় মন্দাভাব কাটবে বলে আশা করি। এদিকে অসম রাজ্যের ছোটহুমা পুলিশ চৌকির আইসি শাহাদাত আলী জানিয়েছেন, এ বছরের মে মাসে করোণা নিয়ন্ত্রণে অসম-বাংলার যান চলাচলকারি রাস্তা গুলি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে দু রাজ্যে জোরকদমে টিকাকরণ চলছে। ফলে পরিস্থিতির কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে আশা করা যায়। এ কারণেই উপরমহল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মত রবিবার রাতে রাস্তা গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে পুজোর আগে সড়ক পথ খুলে দেওয়ায় সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন দুই রাজ্যের স্থানীয়রা।

Post a Comment

Previous Post Next Post