রিয়া গিরি : আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানদের রাজত্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই আফগানবাসীরা দেশ ছাড়তে অস্থির হয়ে ওঠে। আফগান নাগরিক যারা অন্যান্য দেশের সঙ্গে কোন না কোন সম্পর্ক রয়েছে তারাই কেবল মাত্র দেশ থেকে বেরোতে পারছেন। তার জন্যই আফগান মহিলাদের বিমানবন্দরের বাইরে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন তাদের বাবারা।
ভারতবর্ষের এই মন্দিরে মিলছে পাপমুক্তির সার্টিফিকেট
আফগান নাগরিক যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতা রয়েছে তাদেরকেই বিয়ে দিচ্ছেন বাবারা।বিমানবন্দরের বাইরেই ভিড় করে মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়ে আফগান বাবারা এবং গত কয়েক দিনে বহু আফগান মহিলারা এই ধরনের পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে করতে দেখা গিয়েছে। তার স্ত্রী হিসেবে পরিচিত পেয়ে দেশের বাইরে যেতে পারে সেই আশায় মা-বাবারা নিজের মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন আফগান নাগরিক মার্কিন মিত্রদের সঙ্গে।শুধু তাই নয় মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য আমেরিকায় শরণার্থী হওয়ার যোগ্য বহু পুরুষকে মেয়েদের বাবারা অর্থ দিচ্ছেন কেউ কেউ আবার বিয়ে করতে রাজি না হলে মিথ্যে বউ সাজিয়ে বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন আফগান পরিবারগুলোকে। নিজেদের প্রাণ বাঁচাতেই মহিলারা এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।
চরম খাদ্যসংকটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের তৃণভোজীরা
মেয়েদের চরম নিপীড়নের আশঙ্কা গড়ায় তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।তালিবান শাসনের পরে আফগানিস্তানের রাজনীতিতে মহিলাদের কোন ভূমিকা থাকবে না তা স্পষ্ট অনেক আগেই করে দেওয়া হয়েছিল।তাছাড়া মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে এবং বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে পুরুষ সদস্যের সাহায্য নিতে হবে একথা ও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় তালিবান সরকার। কিন্তু এই প্রবণতায় অনেক বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেছে মার্কিন কর্মকর্তারা।মার্কিন বিদেশমন্ত্রক আশঙ্কা করছে এভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই আফগান মহিলারা মানবপাচারের শিকার হবেন।হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় মার্কিন বিদেশ দফতর এ ধরনের আফগান মহিলাদের দ্রুত চিহ্নিত করার কথা ভাবছে।