সার্বভৌম সমাচার : ঘাড়ের পিছনে বিন্দির মতো চিহ্নযুক্ত একটি নতুন প্রজাতির সাপের আবিষ্কার করেছে ভারত, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের একটি দল। তাঁদের মতে, বিগত এক শতাব্দীর মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য (আসামে) থেকে প্রথম ধরনের সন্ধান পাওয়া গেছে। ঘটনাটি নিউজিল্যান্ড থেকে প্রকাশিত পশু শ্রেণিবিজ্ঞানীদের জার্নাল জুটক্সার পত্রিকার সাম্প্রতিক সংস্করণে এই আবিষ্কারের খবর প্রকাশ করেছে। ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, দেরাদুন, ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম, লন্ডন এবং ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, অস্টিনের বিজ্ঞানীদের একটি দল বিগত কয়েক শতাব্দীর গবেষণা করে চলেছে বলেও জানা গিয়েছে।
দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহার করেন? জেনে নিন কি বিপদ নেমে আসতে পারে আপনার জীবনে
দক্ষিণ, পূর্ব এবং দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়া জুড়ে মোট ২৭ টি প্রজাতির র্যাবডোফিস (Rhabdophis) সাপ পাওয়া গিয়েছে। তবে এই নতুন প্রজাতির সাপের নামকরণ করা হয়েছে র্যাবডোফিস বিন্দি (Rhabdophis Bindi)। বিজ্ঞানীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সাপটির গায়ে মোটামুটি লাল রঙের স্পট/দাগ দাগ আছে; যা অন্য কোন প্রজাতির মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না।
এই আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত অভিজিৎ দাস বলেন, " এই সাপের ঘাড়ের পিছনে অনন্য লাল চিহ্ন ভারতীয় মহিলাদের কপালে লাল বিন্দির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেই কারনেই নতুন প্রজাতির সাপের এই নামকরণ করা হয়েছে।" জানা গিয়েছে, অভিজিৎ দাসই প্রথম আসামের কাছাড় জেলার বড়াইল হিল রেঞ্জ এবং এর আশেপাশে ২০০৭ সালে সার্ভে করবার সময় এই নতুন প্রজাতির সন্ধান পান।
দুই মেদিনীপুর শহর সহ ঝাড়গ্রামে পালিত হলো কন্যাশ্রী দিবস
অভিজিৎ দাস আরও জানিয়েছে, “বিগত এক বছর আগে এই নতুন প্রজাতির সাপটিকে খুজে পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু নতুন এই প্রজাতির সঙ্ঘে বিভিন্ন দেশে পাওয়া অন্যান্য প্রজাতির সঙ্ঘে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কের বিচার বিবেচনা করে, বিশ্বজুড়ে অনেক নমুনা সংগ্রহ করে শ্রেণীবদ্ধ করা এবং যাবতীয় জেনেটিক বিশ্লেষণ করে তবেই সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়েছে”।
নতুন এই প্রজাতির সাপের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ সেমি থেকে ৮০ সেন্টিমিটার। এটি নিম্নভূমির চিরহরিৎ বনে বাস করে বলে মনে হয়। অন্যদিকে হিমালয়ান রেড নেকড কিলব্যাক শুধুমাত্র ৬০০ মিটার উঁচুতে পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে।
তবে, বেশিরভাগ প্রাণীবিজ্ঞানী অরুণাচল প্রদেশ এবং মিজোরামের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি থেকে বিশেষত আসাম থেকে ' র্যাবডোফিস বিন্দি'-এর মত আরও অনেক অনাবিষ্কৃত প্রজাতি এই অঞ্চলে থাকতে পারে।" এছাড়া আরও জানা গিয়েছে, আসামে সর্বশেষ আবিষ্কৃত সাপের প্রজাতি ছিল লাল ডোরাকাটা অলিগোডন এরিথরোহাচিস নামের সাপ। যা ব্রিটিশ হার্পেটোলজিস্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল ১৯১০ সালে আসামের জাইপুর এলাকায় খুঁজে পেয়েছিলেন।