সার্বভৌম সমাচার : প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসায় ইতিমধ্যে গোটা রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষকে সরকারি সুবিধা দিতে ১৬ ই আগষ্ট সোমবার থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেইমতো মুর্শিদাবাদ জেলা রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে 'লক্ষীর ভান্ডার' প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করা শুরু হয়। ফলে সকাল থেকেই লাইনের পর লাইনে জমতে থাকে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। জানা যায়,কেউ ভোর চারটে বা কেউ পাঁচটা থেকে লাইনে দাড়িয়ে।
বিষয়টি বিস্তারিত জানতে এদিন জিয়াউল হক নামে এক সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। লম্বা লাইনে উপচে পড়া ভিড়ে কারো মুখে নেই মাক্স। এমনকি সরকারি আধিকারিকরা নিজেও বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করে কাজ চালাতে থাকে। পাশাপাশি গোটা ক্যাম্পে কোথাও স্যানিটাইজার বা দেহ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই।
এবার বাচপান কা পেয়ার গাইলেন রানু মন্ডল
বিষয়টি কভারেজ করতে গেলে তেঘড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্টাফ শহিদুল ইসলাম ওই সাংবাদিকের হাত থেকে মোবাইলটা কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন। ঘটনায় নির্দিষ্ট স্থানে চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। একজন সরকারি আধিকারিক হয়ে আরেকজন কর্মরত ব্যক্তির সাথে এরকম আচরণ কি করে করে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পাল্টে গেল মুখের কথা! ক্ষমতায় এসে আফগান বুকের জোরদার লুটপাট তালিবানিদের
অন্যদিকে, ক্যাম্পের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে অমানবিক আচরণের মুখে পড়তে হয় সাংবাদিক আব্দুস সামাদকে। রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও পার্থসারথি ঘটক ওই সাংবাদিকের ফোন প্রায় ১০ মিনিট ধরে আটক করে রাখেন। আশ্চর্যভাবে সাংবাদিকদের চোর বলে অপবাদ দেন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের ইনচার্জ রুহুল আমিন। তবে উচ্চপদস্থ আধিকারিক হয় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এরকম অসম্মানজনক আচরণ অবশ্যই উচিত হয়নি।