ঈশিতা সাহা : শুক্রবার সকালে একের পর এক চারটি প্রাদেশিক রাজধানী তালিবানের দখলে। কন্দহর, কালা-ইন, পুলি -আলম এবং ফিরোজ- কোর এরপরই ফের হেরাট এবং গজনির পতন।
এদিকে তালিবানের দখলে এসেছে আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকা। সেইসব স্থান থেকে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিজ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করছে নয়াদিল্লি। এমতাবস্তায় আফগানিস্তানে সেনা পাঠিয়ে ভারতের সাহায্য করার চিন্তা ভাবনায় ' ফল ভালো হবে না' বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে তালিবান।
মুকুলের মন্তব্যে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে
এ মাসের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরি চলে আসার কথা আমেরিকান বাহিনী। প্রায় ২০ বছর ধরে আমেরিকান সেনাবাহিনী আফগানিস্তান থেকে ৮৩ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করেছিল এখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা জন্য। কিন্তু দীর্ঘ দুই দশক পরে যখন শেষ পর্যন্ত তারা আফগানিস্তান ছাড়ছে, তখন পরিস্থিতি যে এত দ্রুত অবনতি হবে তা আফগান বা আমেরিকা কোন পক্ষই ভেবে উঠতে পারেনি।
আফগানিস্তানের এই চূড়ান্ত দুর্নীতি পরিস্থিতিতে ভারত সহ্য প্রত্যেকটি দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তালেবানের মুখপাত্র শুহেল শাহীন, সংবাদ সংস্থা এএনআই- কে বলেন, "সেনার ভূমিকা বলতে আপনারা কি বলতে চাইছেন? যদি ভারতীয় সেনা আফগান সেনাকে সাহায্য করার জন্য আসে তাহলে সেটা তাদের জন্য ভালো হবে না। আফগানিস্তানে অন্য দেশের সেনাদের সঙ্গে কি হয়েছে সেটা সবাই দেখেছে। তারা এলে আগে থেকে সব জেনেই আসবে।"এদিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম গুলোতে তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের ৯০ শতাংশ এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে। প্রাদেশিক রাজধানীর অর্ধেক তাদের অধীনে রয়েছে। পাশাপাশি, পূর্বে পাক সীমান্তের একটি ছোট অংশ বাদে দেশের বাকি সব সীমান্ত এখন তালিবানের কবলে। কাবুল -কন্দহর ১ নম্বর জাতীয় সড়কটি দখল নেওয়ার ফলে এ রাস্তা দিয়ে সমস্ত খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী এখন কাবুলে ঢোকে। কাবুল যেন এখন তালিবানের বৃত্ত বলয়ে ঘিরে আছে।