ঈশিতা সাহা : 'পূর্বতন আশরফ ঘনি সরকারের সঙ্গে যে বন্ধুত্ব ছিল, তালিবানের সঙ্গে তেমন সুসম্পর্ক ভারত বজায় রাখলে দু'পক্ষেরই লাভ হবে'।এমনই বক্তব্য করলেন তালিবান মুখপাত্র সোহেল শাহিল।
সোমবার টিভি চ্যানেলের এক সাক্ষাৎকারে মুখপাত্র সোহেল বলেন, তাদের নতুন শাসনকাল আগের চেয়ে সব অর্থেই অন্যরকম হবে। এমন কিছু নতুন করে দেখাবে যা আফগানিস্তানসহ বিশ্ব আগে কখনো দেখেনি। এই পূনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সে দিক থেকে ভারতকে অবশ্যই পাশে দরকার। এতদিন ধরে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যে সরকার চলছিল আফগানিস্থানে তার সমর্থন জানিয়েছিল ভারত। এবারেও সেই সমর্থন পাবে বলে আশা করছেন।
যেখানে যুদ্ধ লড়তে অনিচ্ছুক আফগান সেনারা, সেখানে মার্কিন সেনারা প্রাণ দেবেনা, বার্তা জো বাইডেনের
এদিকে কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছুদিন আগেই তালেবানের সঙ্গে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া আলোচনা কথা জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু পরিস্থিতি যে এত দ্রুত পরিবর্তন হবে, তা আন্দাজ করতে পারেনি দেশ। এ বিষয়ে সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়ার ডাকে বৈঠক হলেও ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্করের নেতৃত্বের আলোচনা হবে। অন্যদিকে কাবুল দখলের পর নয়াদিল্লিকে অবস্থান পাল্টানোর পরামর্শ দিয়েছে তালিবান।
মাত্র ২০ দিনে দু'দশকের সরকার পতন ঘটিয়ে ফের আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন
আফগানিস্তানের উন্নয়নে ভারত থেকে বড় রকমের বিনিয়োগে সাহায্য করা হয়েছিল। আঞ্চলিক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আফগানিস্তানের সাহায্যের আশায় ছিল ভারত। ব্যবসায়িক সূত্রে মধ্য এশিয়া থেকে দক্ষিণ এশিয়া পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপনে পরিকল্পনামাফিক তৈরি হয়েছিল ইউএসনিউ সিল্ক রোড স্ট্রাটেজি। এতে ভারতেরও অংশ ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সবটাই বিফলে গেল। সুতরাং উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত দিল্লির আর কিছুই করার নেই।