ঈশিতা সাহা : নিয়মিত পঠন-পাঠনের বিষয়টি এখন সকলের চিন্তার কারণ। সব যখন খুলেই যাচ্ছে তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কি দোষ করল! অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী পুজোর পর থেকেই স্কুল খোলার তড়িঘড়ি শুরু করেছে সরকার। তবে নিয়মিত স্কুল খোলার বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি, শুধুমাত্র পঠন-পাঠন শুরু করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিষেধকের দুটি ডোজ নেওয়ার দিন নির্ধারণ করে দিলেন কলকাতা পুরসভা
করোনা আবহে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ। মাঝে কয়েক মাসের জন্য নবম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস চললেও তা ফের বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষা সূত্রে খবর, এতদিন টানা বন্ধের ফলে বিদ্যালয়গুলিতে কমবেশি পরিকাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন পড়েছে। তারই বিস্তারিত সমীক্ষা জানতে চেয়েছে শিক্ষা কমিশনার। কোন স্কুলে কতটা মেরামতের প্রয়োজন, চেয়ার বেঞ্চ ঠিকঠাক আছে কিনা, যদি না থাকে তাহলে কতটা দরকার।
আফগানিস্থানকে সাহায্যের পরিণতি ভালো হবে না, ভারতকে সরাসরি হুমকি তালিবানের
এছাড়াও স্কুলের মিড ডে মিলের জন্য উপযুক্ত স্থানটি এখন ব্যবহারযোগ্য কিনা, নিয়মিত পর্যাপ্ত জল ও শৌচালয় এর অবস্থা কেমন আছে। পাশাপাশি মেরামতের জন্যই বা কত টাকা খরচ হতে পারে; সেই সম্পর্কে প্রতিটি জেলায় সংশ্লিষ্ট ডিআই অফিসের মাধ্যমে একটি ফর্ম পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেকটি স্কুলগুলিতে। সেসব ফর্মের মাধ্যমে স্কুলে খরচের বিষয়টি স্পষ্ট জানতে পারবে শিক্ষা দপ্তর।
প্লাস্টিক কাপ প্লেট থেকে শুরু করে চামচের উপর নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের
দক্ষিণবঙ্গের একটি জেলার স্কুল পরিদর্শক বলেন,"শিক্ষা দপ্তরের এই উদ্যোগ খুবই ভালো। আমি স্কুলগুলির কাছে ওই ফর্ম পাঠিয়ে দিয়ে সোমবারের মধ্যে তা পূরণ করে ফেরত দিতে বলেছি। তা খতিয়ে দেখে শিক্ষা দপ্তর এ পাঠিয়ে দেওয়া হবে।" পাশাপাশি করোনা মহামারী রুখতে স্কুল চত্বর এলাকাতে স্যানিটাইজেশন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য পর্যাপ্ত খরচ কত হবে সে বিষয়েও ফর্মে জানাতে বলেছে সরকার। স্কুল খোলার বিষয়ে সরকার পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কথা বলা হয়নি। তবে পরবর্তী ভাবনার আগাম ব্যবস্থা নিতেই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এই উদ্যোগ বলে জানা যায়।