ঈশিতা সাহা : বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ বামুনহাটগামী উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস এর সামনে আত্মঘাতী দিনহাটা-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রদীপ বর্মন (৩৫) ও তার ছেলে (১৪) পল্লব বর্মন। গীতালদহ -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিথীকা রায় বর্মন- এর স্বামী ছিলেন প্রদীপ বাবু। এদিন সকালে নিউ গীতালদহ স্টেশন সংলগ্ন নবনী গ্রাম এলাকায় রেললাইন থেকে তৃণমূল নেতা ও তার ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ.টি.এম. এ টাকা না থাকলে, ব্যাংক থেকে জরিমানা নেবে RBI
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দিনহাটা-১ ব্লক সম্পাদক তথা গীতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আবু আল আজাদ বলেন, বর্তমান বিধায়ক জগদিশ বর্মা বসুনিয়া ও তার তৃনমুল নেতা নুর আলম হোসেন সিতাই বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিধানসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের অনাস্থা নিয়ে এসে প্রধান দের সরিয়ে দিচ্ছেন। গীতালদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও এমনই চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। প্রধানের পদ থেকে বীথিকা বর্মনের পদত্যাগের পর তার স্বামী প্রদীপ বর্মন এর কাছ থেকে প্রায়ই মোটা টাকা চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এ কারণেই মূলত এই মর্মান্তিক আত্মঘাতীর শিকার হয়েছেন দুজনে। তবে প্রশ্ন অবশ্যই- একটি ছোট শিশুকে নিয়ে প্রদীপ বাবু কি করে আত্মহত্যার পথটি বেছে নিলেন!
বিধানসভার ভোটের পর থেকে থেকে তৃণমূল যুব যে কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে এনেছিল সেগুলির মধ্যে একটি হল গীতালদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েত। পদ দখলের চেষ্টায় বিথীকা দেবীকে সরিয়ে বিধায়ক- ঘনিষ্ঠ মুক্তা রায় কে পদে নিযুক্ত করেন। এরপর থেকেই চাপ সৃষ্টির অভিযোগ।
ইছামতী নদী থেকে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ
প্রদীপ বাবুর দাদা সন্দীপ বর্মন বলেন, প্রথমত চক্রান্ত দ্বারা বৌদিকে প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও নানাভাবে ভাইকে মানসিক চাপ দিচ্ছিলেন দলের কয়েকজন নেতা। এর জন্য মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েই বাধ্য হয়ে ভাই ভাইপো কে নিয়ে আত্মঘাতী হল। সপুত্র তৃণমূল দলের নেতার এরকম অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ঘটনাস্থলে আসেন। পার্থপ্রতিম বলেন, "খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে।"
একইসাথে স্বামী ও ছেলেকে হারানোর যন্ত্রণায় বিথীকা দেবী মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে , ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেই তদন্ত শুরু হয়েছে।