ঈশিতা সাহা : ধর্ষিত হয়ে চুপ থাকাটাই হয়তো সবচেয়ে বড় ভুল। আর সেই ভুলের সুযোগ নিতে থাকে দিনের পর দিন ধর্ষণকারীরা। নবদ্বীপের এই ঘটনায় একদিন- দুদিন নয়, লাগাতার মাস তিনেক ধরে ধর্ষিত হতে হচ্ছিল গৃহবধূকে। অভিযোগ, ৩৮ বছরের শঙ্কু নন্দী প্রায় নিত্যদিনই পাশের বাড়ির ওই গৃহবধূর স্নানের দৃশ্য ভিডিও করত। শুধু ক্যামেরাবন্দি করেই থামেনি শঙ্কু, ধীরে ধীরে ওই ভিডিওগুলি গৃহবধূর হোয়াসঅ্যাপ এ পাঠিয়ে রীতিমতো ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে। বিছানায় না এলে সেই ভিডিও গুলি সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল ছড়িয়ে দেবে। মূলত সেই ভয়, লজ্জা থেকেই ওই গৃহবধূ বাধ্য হয় শারীরিক সম্পর্কের জন্য।
ঘর ভাঙছে বাম- কংগ্রেসের; ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধীর আসনের লক্ষ্যে তৃণমূল
সূত্রে জানা যায়, নবদ্দীপ শহরে চারিচারা বাজার লেন এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ ও শঙ্কু। তার দাবি ছিল, শারীরিক সম্পর্ক না করলে সে নির্যাতিতার সমস্ত ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবে। কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে শঙ্কু মাসের পর মাস মহিলাকে ধর্ষন করতে থাকে। তারপরই নিত্যদিনের এই যন্ত্রণায় বিধ্বস্ত হয়ে গত শনিবার ওই মহিলা তার স্বামীকে সবটা জানান। তার জেরে সেদিন রাতেই গৃহবধূর স্বামী শঙ্কুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তৎক্ষণাৎ পুলিশ অভিযুক্ত শঙ্কু কে গ্রেফতার করে। রবিবার ধর্ষণের দায়ে বিচারক শঙ্কুকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের রাখার নির্দেশ দেন।এদিকে ওই গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষা করা হয় হাসপাতালে। সেখান থেকেই জানা যায়, লাগাতার ২-৩ মাস ধরে ধর্ষিত হচ্ছিলেন নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে স্থানীয় পুলিশ শঙ্কুর মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করেছে।