অম্লিতা দাস : গুনে গুনে ৪৬টি বিমান জোর করে নামানোর কথা স্বীকার করল উজবেকিস্তান। তারা জানান, তাদের আকাশসীমায় বে আইনি ভাবে ঢুকে পড়েছিল ওই বিমানগুলি, সেই কারণেই বিমানগুলি নামিয়েছে তারা।
TMC পতাকা ধরলেই, কাটা হবে হাত, মাওবাদী পোস্টারে ফের আতঙ্ক ছড়ালো পুরুলিয়ায়তালিবানদের দখল করে নেওয়ার পর থেকেই দেশ ছাড়ছেন আফগান বাসিন্দা। বিমানে চেপে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় খুঁজছেন তারা। এই বাসিন্দাদের মধ্যেই রয়েছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি ঘনিষ্ঠ সেনাকর্তা এবং নিরাপত্তা আধিকারিকরাও। এই সময়েই খবরে সামনে আসে বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা। সোমবার সামনে আসা এই ঘটনা তুলে ধরে রবিবার রাতের দুর্ঘটনার প্রতিচ্ছবি। উজবেকিস্তান সরকার তখন এই নিয়ে কোনোরকম কোনো মন্তব্য করেননি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান তারা।
তবে পরে দেশের সরকারি আধিকারিকদের মন্তব্যে সামনে আসে আসল ঘটনা। রাশিয়া জানান, উজবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাথে কথপোকথনে এটা বোঝা যায় যে তারা বিমানগুলি নামিয়েছেন। এই মন্তব্যর পরেই উজবেক সরকার বলে ওঠেন রাস্তা দেখিয়ে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার সময় বায়ুসেনার একটি বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে আফগান বিমানটি ভেঙে পড়ে। এই কথা বলার সাথে সাথেই মন্তব্য প্রত্যাহার করেন সরকার।
পরে মঙ্গলবার বিমান নামানোর ঘটনা স্বীকার করেন তারা। তাদের দাবি, রবিবার বে আইনি ভাবে তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে ২২টি আফগান যুদ্ধবিমান এবং ২৪টি সেনা হেলিকপ্টার। ওই বিমানগুলিতাই ছিলেন পূর্বতন গনি সরকারের ৫৮৫ জন আফগান সেনাকর্তা এবং আধিকারিক। তাই বিমানগুলি নামানো হয়। ভেঙে পড়া বিমানটিও লঙ্ঘন করেছিল আকাশসীমা জানায় উজবেক সরকার। দুই পাইলট এখন হাসপাতলে ভর্তি কিন্তু বাকি বিষয় আর বিশেষ কিছু মন্তব্য প্রকাশ করেননি তিনি।
বিক্ষোভের সাক্ষী থেকে সাবধানী হয়েছে উজবেকিস্তান। তাই সীমানা লঙ্ঘনে যে কাউর দিকেই সতর্ক তারা। এর আগে ৮৪ জন আফগানী সীমানা লঙ্ঘন করে তাদের কাছে আসে চিকিৎসার সাহায্য চাইতে। সেই সমস্ত আফগান সেনাদেরও বন্দি করেন উজবেকিস্তান সরকার।