রিয়া গিরি : পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে নাটশাল হাই স্কুলের ১৭ জন নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে অনেক অভিভাবক নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে দিচ্ছেন। নাটশাল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব নারায়ন পণ্ডা ঘটনাটি জানতে পেরে নন্দকুমার থানার ওসিকে খবরটি জানান।
ভক্তের চাহিদায় আজ থেকে খুলল বেলুড় মঠের দরজা
সূত্রের খবর, স্কুল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়ার সময় ও কন্যাশ্রী প্রকল্পে পুনর্নবীকরণ করার সময় ছাত্রীদের হাজিরা স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তারপরেই খোঁজখবর করে প্রধান শিক্ষক বিপ্লব নারায়ন পন্ডা জানতে পারেন, নিজে স্কুলের ১৭ জন নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে। স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে নাবালিকাদের একটা অংশের মধ্যে পালিয়ে বিয়ে করার প্রবণতা বেড়েছে।
পিজিতে অপারেশনে বাদ গেল শিশুর লেজ
ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী এবং মেধাবী ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু এদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ পালিয়ে বিয়ে করার প্রবণতা বেড়েছে। সম্প্রতি গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার নাম করে ১৭ বছরের এক মেধাবী ছাত্রী আর বাড়ি ফেরেনি। ১৬ বছরের এক নাবালিকা মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে বিয়ে করে নেয় বলে ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ । নন্দকুমার থানার ওসি বলেন, সম্প্রতি কোভিড পরিস্থিতিতে দুজনের মধ্যে ফোনে আলাপ হয় এবং পরে তারা পালিয়ে বিয়ে করে।
কাবুলে আটকে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের ২০০-এর বেশি বাসিন্দা!
কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক পড়ুয়া পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মত স্কিম চালু করার পরেও ছাত্রীদের মধ্যে পড়াশুনোর কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ব্যাপারটিতে সচেতন হওয়া দরকার। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে নাবালিকার বিয়ে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।