কাঁটাতারের ধারে পেট্রাপোল সীমান্তে আয়োজন মনসা পুজোর

Manasa-Pujor-organized-at-Petrapol-border-along-the-barbed-wire

সায়ন ঘোষ, বনগাঁ : কাঁটাতারের পাশেই দুই বাংলার সমাগমে হয় মনসা পুজো। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তের সংযোগস্থলে এপার বাংলা (ভারতবর্ষ) ও ওপার বাংলার (বাংলাদেশ) মানুষ মিশে গিয়ে বিএসএফ জওয়ানদের সহযোগিতায় আয়োজিত হয় এই মনসা পুজো। তবে এবারের করোনা পরিস্থিতে পুজোর জৌলুশ অনেকটা কম। প্রবেশ নিষেধ ওপার বাংলার (বাংলাদেশ) সাধারণ মানুষের। তবে এদিন ভীড় কম থাকলেও বিএসএফ আধিকারিকদের নজরদারি চলে এক ভাবেই। 

আফগানিস্তানের নাম বদলে দিচ্ছে তালিবানরা

Manasa-Pujor-organized-at-Petrapol-border-along-the-barbed-wire
প্রসঙ্গত, অনেক বছর আগে বিএসএফ জওয়ান মেজর পাণ্ডে সাহেব কাঁটা তারের বেড়ার পাশ দিয়ে হঠাৎই দৌড়ে কয়েকজন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে ধরতে ক্যাম্প থেকে জঙ্গলের দিকে ছুটেছিলেন। কিন্তু আচমকায় জঙ্গলের মাঝে থমকে দাঁড়ালেন মেজর। কথিত আছে, সেসময় তিনি দেখতে পেয়েছিলেন মা মনসার পঞ্চমুখী রুপ। এক পা'ও সামনে এগোতে পারলেন না তিনি। সেদিনের মতো চুপ থাকলেও মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন, মা মনসার মন্দির নিজে হাতে তৈরি করবেন ওই স্থানেই। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। তৈরি হল মায়ের মন্দির। কালের স্রোতে ভক্তদের বিশ্বাস, ভক্তি আর দান-ধ্যানে মায়ের সেই জায়গা আজ রূপ নিয়েছে অপরূপ মন্দিরে। প্রতিবছরই এই সময় দুই বাংলার অসংখ্য মানুষ আসতেন নিয়ম করে৷ প্রায় পাঁচশো কড়াই খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ চলত সারাদিনে। কিন্তু এবারের করোনার কারনে নম নম করে পুজো সারলেন সকলে। বছরের প্রত্যেকটা দিন মায়ের মন্দিরের দেখ ভাল করেন সৌদামিনি বারুই ওরফে সবাই চেনেন তাঁকে পাগলি মা হিসেবে। তিনি বলেন "কখনও কখনও মন্দিরে এসে দেখি বিগ্রহে স্বয়ং মা জড়িয়ে থাকেন। চোখে না দেখলে তা বিশ্বাস করা যাবে না৷" তাই ভক্তি আর বিশ্বাসের দরজায় মাথা ঠুকতে প্রতি বছর শ্রাবণ সংক্রান্তির দিন আসেন ভক্তরা।








Post a Comment

Previous Post Next Post