অম্লিতা দাস : দেশকে বড় ভালোবাসি, তবু উপায় নেই এবারে দেশ ছেড়ে যেতে হবে, বলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন আফগান মহিলা সাংবাদিক। কাবুল বিমানবন্দরে কোনোমতে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাংবাদিক ওয়াহিদা ফইজি।
বিয়ের দাবিতে সিভিক পুলিশের বাড়ির সামনে ধর্নায় মহিলা সিভিক
তালিবানের আফগান দখলের পরেই বিমানবন্দরে ঝড় উঠেছে আফগানবাসীর। প্রাণ নিয়ে দেশ ছাড়ছেন প্রায় অনেকেই। সেই ভিড়ের মধ্যেই কোনোমতে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে এমনই সাক্ষাৎকার দিলেন সেই মহিলা সাংবাদিক। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সাথে সাথেই লক্ষ্য রাখছিলেন বিমানবন্দরের গেটের দিকে। সেখান থেকেই মুক্তির রাস্তা।
আবারও নক্ষত্রপতন : চলে গেলেন বাচিক শিল্পী গৌরী ঘোষ
তবে নিজের দেশকে সারাজীবনের মত ছেড়ে চলে যাওয়ার কষ্ট যেন তাঁকে চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। তাই বিমানবন্দরের গেটের দিকে তাকানোর সাথে সাথেই পেছনে ফেলে আসা রাস্তার দিকেও দেখছিলেন তিনি। তাঁর দেশ , তাঁর শহর, তাঁর ফেলে আসা জায়গা। এর মধ্যেই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমি আমার দেশকে খুব ভালোবাসি। কিন্তু সেই দেশের দখল যাঁরা নিয়ে ফেলেছে তাঁরা আমায় বাঁচতে দেবে না। তারা জানে আমি একজন সাংবাদিক।
ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের নয়া সুযোগ! রাজ্য সরকার তরফের বিজ্ঞপ্তি জারি
তারা আমার সমস্ত কাজ সম্পর্কেও জানে, তাই এখানে থাকলে আমি আর বাঁচব না। সাংবাদিক ওয়াহিদা ফইজি জানেন এটাই শেষবারের মত আফগানিস্তানে। আর ফিরে আসা হবেনা। ছোটবেলা থেকে বড় হয়ে ওঠার সমস্ত স্মৃতি, মানুষ ফেলে যেতে হচ্ছে তাঁকে।
প্যারেড NCC ক্যাডেটদের মুখে "বচপন কা প্যায়ার, পিছে মুর ১.২.৩.৪!" মুহূর্তে ভিডিও ভাইরাল...
ওয়াহিদা বলেন, এই দেশে আমি আর কখনই ফিরতে পারবনা। এর পরেই ভিড়ের ধাক্কায় এগিয়ে যান তিনি। এগিয়ে যান বিমানবন্দরের গেটের দিকে। কান্নায় আটকে যাওয়া গলা থেকে জোর করে বলে ওঠেন, আর কখনও ফেরা হবেনা এখানে।