সার্বভৌম সমাচার : বাংলার মসনদ দখলের পর এবারের তৃণমূলের পাখির চোখ ত্রিপুরায়। তৃণমূলের নির্বাচনী উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সংস্থা আইপ্যাক-এর ২৩ জন আধিকারিক(Team IPAC In Tripura)কে হাউজ অ্যারেস্ট করে রাখা নিয়ে বিতর্কের ঝড় কাটতে না কাততেই আগামিকাল আগরতলায় যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও একেবারে মাঠে নেমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, যুব তৃণমূলের মুখ দেবাংশু ভট্টাচার্যরা।
'অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে ৪০ হাজার টাকা হারিয়েছি', মায়ের বকুনির ভয়ে আত্মঘাতী ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়া
অন্যদিকে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলের মতে, এখনই 'খেলা' ঘোরাতে শুরু করেছে তৃণমূল। তাতে সাফল্যও নাকি মিলছে চোখে পড়ার মত। একের পর এক বাম বা কংগ্রেসের বিরোধী আসন থেকে নিজেদের দিকে টেনে নিচ্ছে তৃণমূল। যাতে ঘর ভাঙছে বাম- কংগ্রেসের। এছাড়া সম্প্রতি ত্রিপুরা কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা সুবল ভৌমিকদের তৃণমূলে যোগদানের পরই কংগ্রেসের একাধিক নেতা, কর্মী-সমর্থকরাও তৃণমূলে সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও মিলছে খবর।
আড়িপাতা কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অবস্থান-বিক্ষোভ
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার ২৩ জন আধিকারিককে হাউজ অ্যারেস্ট করে রাখার পর তাঁদের ছাড়াতে আদালতে সওয়াল- জবাব করেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস। এমনকি সরকারি পক্ষের উকিলের যুক্তিকে খণ্ডন করে তাদের জামিনের ব্যবস্থাও করেন তিনি। অথএব এটা ধরে নেওয়াই যায় যে, ফলে পরিস্থিতি এমনই ঘোরাল হয়েছে যে, কংগ্রেস তাদের নিজের ঘর বাঁচাতেই এখন মারিয়া। রীতিমত আঁটঘাঁট বেধেই ত্রিপুরায় 'খেলতে' নেমেছে তৃণমূল।