ঈশিতা সাহা : ছোটবেলা থেকেই মানসিকভাবে প্রতিবন্ধীকতার শিকার হাসানুর আলম (৩৫)। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হিংস্র মানসিকতা চালচলনে পরিনিত হয় ওই যুবক। ফলে ছেলেকে আর সামলে রাখতে না পেরে বাড়িতেই শিকলবন্দি করে রাখেন বাবা-মা।
ভ্যাকসিনের দাবিতে রাস্তা অবরোধ, লাঠিচার্জ পুলিশের
হাসানুর আলমের বাড়ি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মেখলিগঞ্জ ব্লকের ১০৮ ছোট কুলচিবাড়িতে। মানসিক ভারসাম্যহীনতার জন্য সে অনেকবার সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিল বলে জানা যায়। হাসানুরের বাবা আমিন হক বলেন, 'ছোটবেলা থেকে ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হিংস্র হয়ে উঠেছে। এলাকার মানুষ এবং আমাদেরও মারধোর করে বাড়িতে কয়েকবার আগুন লাগিয়ে ছিল। সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার চলে গিয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে আনতে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছিল।'
পরিবারের দাবি, ৯-১০ বছর আগে রাস্তায় একটি চলন্ত বাইকে ধাক্কা খেয়ে ছেলের পা ভেঙে যায়, তার চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকাও খরচা হয়। তারপর থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ৩৫ বছর বয়সী ছেলেকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখতে বাধ্য হয় বাবা মা।
এদিকে শিকলবন্দি বিষয়টি অমানবিক বলে জানিয়েছেন মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিয়তি সরকার। তিনি জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে ছেলের চিকিৎসার জন্য মানসিক হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে প্রশাসন থেকে কোন সাহায্য পাচ্ছেন না বলে জানায় পরিবারের সদস্যরা।