বক্সার পাহাড় গড়িয়ে আর চিকিৎসার কষ্ট নয়, চালু হচ্ছে হেলথ ইউনিট

Boxer-hill-is-no-longer-a-medical-problem-the-health-unit-is-being-launched


ঈশিতা সাহা : ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সামান্য চিকিৎসার জন্য বক্সার দুর্গম পাহাড় গরিয়ে নিচে নামতে হয় পাহাড়ি বাসিন্দাদের। ফলে বেশিরভাগ সময় সর্দি, কাশি, জ্বরে বাড়িতেই কাটিয়ে দেন বাসিন্দারা। সবচেয়ে বেশি সমস্যাতে পড়তে হয় সন্তানসম্ভবা মহিলাদের। শোনা যায়, মূলত ইংরেজ আমলে বক্সা পাহারে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা উপলব্ধি ছিল কিন্তু পরবর্তীতে স্বাধীনতার পর সেই পরিষেবা থেকে পরিত্যক্ত হন এলাকাবাসী।ফলে চিকিৎসা পরিষেবা না থাকায় পাহাড়ি দুর্গম পথ কাটিয়ে অনেক নিচে নেমে আসতে হয়। তবে এবার সেই চিন্তাই কি দূর হলো! 

কালচিনি ব্লকের বিডিও প্রশান্ত বর্মন জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে  বক্সা পাহাড়ে চালু করা হবে কমিউনিটি হেলথ সেন্টার।  এবং পরবর্তীতে ওই হেল্থ ইউনিটকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিকল্পনার জন্য আবেদন পাঠানো হবে রাজ্যের কাছে। মূলত বক্সা পাহাড় রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি হলঘরকে কমিউনিটি হেলথ ইউনিটের পরিণত করা হচ্ছে। বর্তমানে পুরো হলঘর থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে শীততাপনিয়ন্ত্রণ-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার জন্য যে সমস্ত সরঞ্জাম দরকার, সেই ব্যবস্থা করে  প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে।

প্রায় ১৫ টির মত ছোট বড় গ্রাম মিলিয়ে  আনুমানিক ২ হাজার মানুষের বসবাস বক্সা পাহাড়ি অঞ্চলে। প্রথমে এখানকার মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দুর্দশার চাক্ষুষ দর্শন করেন প্রশান্ত বর্মন। এরপরই বক্সার ফোর্ট কমিউনিটি হেলথ ইউনিট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে  স্বাধীনতার এত বছর পর  প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু হওয়ায় আনন্দে উৎফুল্ল পাহাড়বাসী। চিকিৎসা কেন্দ্রে একজন চিকিৎসক এবং একজন নার্স প্রতি সপ্তাহে এসে রোগীদের দেখবেন। ইতিমধ্যে পাহাড়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর চিকিৎসকরাও সম্মতি জানিয়েছেন।



Post a Comment

Previous Post Next Post