সার্বভৌম সমাচার : মহিলাদের পাশাপাশি যুবাদের সঙ্গে নিয়েই ত্রিপুরার (Tripura) ভোট ময়দানে নামতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC Congress)। আগামী ২০২৩ এর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার একের পর এক মন্ত্রী-বিধায়ক-নেতা ত্রিপুরায় যাচ্ছেন। প্রথম অবস্থায় যুব টিমের দেবাংশু-সুদীপ-জয়াকে নিয়ে ত্রিপুরায় প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, জোড়া ফুল শিবিরের এই তিন তরুণ যোদ্ধা আগামী ১২ দিন ত্রিপুরায় প্রচার চালাবেন।
ঘর ভাঙছে বাম- কংগ্রেসের; ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধীর আসনের লক্ষ্যে তৃণমূল
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে একাধিক পরিবার সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তবে সুত্রে খবর, তৃণমূলের মূল লক্ষ্য ছাত্র-যুব ও মহিলা সংগঠনকে জোরদার করা। ইতিমধ্যে ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলার দ্বায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সুত্রে খবর, দেবাংশুকে দেওয়া হয়েছে উনকোটি ও সিপাহিজলা জেলার দায়িত্ব। জয়া'র দায়িত্বে রয়েছে ধলাই, গোমতী ও খোয়াই জেলা। সুদীপের দায়িত্বে উত্তর ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা।
নতুন সেতু নির্মাণের আশ্বাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস গ্রামবাসীর
গত শনিবার দেবাংশু-সুদীপ-জয়া কলকাতা থেকে ত্রিপুরায় এসে পৌছানোর পর থেকেই তাদের সঙ্গে দেখা করতে হাজির হচ্ছেন একাধিক ব্যক্তি। তবে তাদের মধ্যে ছাত্র ও যুবদের আগ্রহ বেশি বলেই জানা গিয়েছে৷ দেবাংশু জানিয়েছেন, ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় প্রতিদিনই একাধিক নেতা যোগদান করছেন। আর তা দেখেই ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তিনি আরও বলেন, "অবশ্যই খেলা হবে। ২০২৩ ত্রিপুরা রাজ্যে খেলা হবে। মানুষ যে আগ্রহ দেখিয়ে এগিয়ে আসছেন, তাতে বিপ্লব দেব সরকারের ব্যর্থতা বোঝা যাচ্ছে। তাই ত্রিপুরায় বদল আসছে এটা নিশ্চিত।"
'অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে ৪০ হাজার টাকা হারিয়েছি', মায়ের বকুনির ভয়ে আত্মঘাতী ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়া
অন্যদিকে ত্রিপুরায় দাঁড়িয়ে সুদীপ রাহা বলেন, "পড়শি রাজ্যের ছাত্র সমাজ যখন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাচ্ছে। তখন ডাবল ইঞ্জিন সরকার বলে দাবি করা এই রাজ্যের সরকার উচ্চ শিক্ষার জন্যে সুদূরপ্রসারী কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করতে পারল না।"
অপরদিকে ছাত্র-যুব সংগঠনের পাশাপাশি ত্রিপুরার ভোটে ফ্যাক্টর হতে চলেছে মহিলা ভোটও। সেই লক্ষ্য আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে সচেষ্ট হচ্ছেন মহিলা যুব নেত্রী জয়া। তিনি জানাচ্ছেন, "মহিলা ভোট অবশ্যই ফ্যাক্টর। বাংলার মহিলাদের যে যে সুবিধা, যে যে প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে; সেই ধরণের কোনও সুবিধাই এখানে এই রাজ্যের মহিলারা পান না। তাই মহিলাদের দাবি নিয়ে এখানে লড়াই চলবে।"
তবে এখানেই থেমে থাকতে রাজী নন ত্রিপুরায় তৃণমূলী কর্মী-সমর্থকেরা। তাদের দাবী, মদন মিত্র, অনুব্রত-অরূপ রায়-শশী পাঁজাদের-র মতো নেতাদের নিয়ে এসেও ত্রিপুরায় প্রচার চালাতে চান তারা।