সোমনাথ দাস, বনগাঁ : থানার সামনে থেকে ভ্যানে করে এক যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে আমবাগানে ধর্ষণ করে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পেট্রাপোল থানার খলিদপুর এলাকার। বর্তমানে ওই যুবতী গুরুতর জখম অবস্থায় বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ওই যুবতীর বাড়ি বনগাঁ শহরের চাঁপাবেড়িয়া এলাকায়। এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় আত্মীয় বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল ওই যুবতি। পরিবারের অভিযোগ, বনগাঁ থানার সামনে থেকে এক ইঞ্জিন ভ্যান চালক ওই যুবতিকে তার আত্মীয়ের বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে ভ্যানে তোলে। কিন্তু ওই ভ্যানচালক তাকে বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে পেট্রাপোল থানার খলিদপুর এলাকায় নিয়ে যায় অভিযোগ বলেও অভিযোগ করেন ওই যুবতীর পরিবার ।
প্রতিষেধকের দুটি ডোজ নেওয়ার দিন নির্ধারণ করে দিলেন কলকাতা পুরসভা
অভিযোগ, রাস্তার পাশের একটি জঙ্গলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা যুবতীকে কাঁদতে দেখে উদ্ধার করে ও পেট্টাপোল থানায় খবর দেয় বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাকে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন৷
আফগানিস্থানকে সাহায্যের পরিণতি ভালো হবে না, ভারতকে সরাসরি হুমকি তালিবানের
খবর পেয়ে আজ শনিবার সকালে সকালে যুবতীর বাড়িতে যান স্থানীয় তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম নেতা কর্মীরা। পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। অথচ পশ্চিমবঙ্গের মা-বোনেদের ইজ্জতের কোন দাম নেই।দিকে দিকে ধর্ষণ হচ্ছে। মাননীয়া কে বলব ইজ্জতের দাম দেওয়ার চেষ্টা করুন। না হলে আমরা যতদূর জেতে হয় যাব”।
ইছামতী নদী থেকে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ
পাশাপাশি অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বও।