রিয়া গিরি : ওয়ার্ক ফ্রম হোম কিংবা ইন্টারনেটের ব্যবহার , সবগুলি ক্ষেত্র ই আরো বেশি করে সহজ করে তুলেছে ওয়াই ফাই। প্রযুক্তির যুগে ওয়াই ফাই কতটা প্রয়োজনীয় তা অস্বীকার করা যাবে না।কিন্তু সম্প্রতি, ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় উঠে এসেছে ওয়াইফাই হতে পারে সাইলেন্ট কিলার। ওয়াইফাই এর ক্ষতি সরাসরি চোখে না পড়লেও একটা সময় পর মারন অস্ত্রে পরিণত হতে পারে এই যন্ত্র।
নীরব ঘাতক বলে পরিচিত ওয়াইফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের বিশাল জগতে ডুব দেওয়া যায় অতি সহজেই। দিন দিন প্রতিটি বাড়িতেই ওয়াইফাই এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। কিন্তু এই ব্যবস্থায় রাউটারের সাথে তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে সংযুক্ত হয় সেলফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপ। এই রাউটার থেকে নির্গত
WLAN signals এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যজনিত নিরাপত্তা বিবেচনা করে ওয়াইফাই রাউটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গুলির কিছু কঠোর নিয়ম চলা উচিত। রাউটার থেকে নির্গত তরঙ্গ গুলি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করার পাশাপাশি ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী জানানো হয়েছে, মানুষ এমনকি গাছপালা ও প্রাণীদের
বিকাশে ও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে প্রতিনিয়তই। তার জন্য কিছু শর্ত মেনে চলা উচিত- ১) রান্নাঘর কিংবা বেডরুমে রাউটার রাখা উচিত নয়।
২)
ঘুমোতে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগেই, ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা উচিত।
৩)
ওয়াইফাই এর ব্যবহার না করলে সেটা সেই মূহূর্তের জন্য বন্ধ রাখা উচিত।
এই
সমস্ত বিষয়গুলো মেনে চললে,
এর ক্ষতিকারক প্রভাব কিছুটা কমে যেতে পারে। শিশুদের বিকাশের জন্য ক্ষতিকারক এই অদৃশ্য তরঙ্গ উদ্ভীদেরও হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তার সাথে সাথে ওয়াইফাই ব্যবহারকারীদের মাথাব্যথা, মনোযোগ এর ব্যাঘাত, ঘুম না আসা, চোখের সমস্যা সহ বেশ কয়েকটি লক্ষণ দিয়েই আহ্বান জানাতে পারে বড় কোনো মারণ রোগের।