ঈশিতা সাহা : বিয়ে হয়ে মাত্র দু'বছর, তারইমধ্যে সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মঘাতী। বিয়ের পর থেকেই প্রায় বাপের বাড়ি যাবার জন্য বায়না ধরতে ওই বধূ। স্বামী আপত্তি জানালে ভাঙচুর করা হতো ঘরের সব জিনিসপত্র। কিন্তু এবারে সেই ক্ষোভ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় শোয়ার ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন কালিয়াগঞ্জ এর রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের চাঁদগাও গ্রামের বাসিন্দা শম্পা বর্মন (২০)।
ভয়াবহ বন্যা ও হড়পা বানের মুখে মহারাষ্ট্র, মৃত ৪৭
পেশায় মজুর স্বামী মানিক বর্মন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বাপের
বাড়ি যাওয়ার জন্য গোছগাছ শুরু করে শম্পা। কিন্তু এবারেও আপত্তি জানায় তিনি। এরপর
দিন সকালে বাজার থেকে ফিরে দেখেন শোবার ঘরে
বিছানায় চার মাসের যমজ সন্তান রা কাঁদছে আর ঘরে সিলিং ফ্যানের ঝুলছে স্ত্রীর দেহ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। এরকম রহস্যময় মৃত্যুর খবরে
চাঁদগাও গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।ইতিমধ্যে দেহটি রায়গঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালের
ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
তবে মৃত্যুর মূল কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যে তদন্ত চালিয়েছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট থানার আইসি দীপাঞ্জন দাস বলেন,"ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত
কিছুই বলা সম্ভব নয়, তবে মৃত্যুর ঘটনা স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।"
বাঁকুড়ার শিশু পাচার কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি
পাড়াপড়শির জানায়, খুব মিশুকে প্রকৃতির ছিলেন শম্পা। বাপের বাড়ি যেতে না পারায় যে এরকম একটা ঘটনা ঘটে যাবে এটা তারা ভাবতেই পারছেন না। শম্পার জমজ একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। শুক্রবার সকালে খবর পাওয়ার পর থেকে শম্পার পরিবারের লোকেরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
এরকম মর্মান্তিক ঘটনায় মৃতার স্বামী মানিক বর্মন বলেন, "বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রায়ই বায়না ধরত। কিন্তু এখন পাটের মরসুম, তাই যেতে নিষেধ করেছিলাম। তারপর সকালে বাজার থেকে ফিরে দেখি স্ত্রী ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। "স্বাভাবিকভাবেই এরকম দুঃখজনক ঘটনায় শুক্রবার সকালথেকে চাঁদগাও গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে।
মাছে ঢাকা নদী, চিন্তায় পড়লেন গ্রামবাসীরা