ঈশিতা সাহা : পাহাড়ি চড়াই- এ মাউন্টেন বাইক থাকাটা কি বাধ্যতা! তাহলে শিলিগুড়ির প্রতীক ঘুচিয়ে দিয়েছে বাধকতা। সবুজ সাথী সাইকেল নিয়েই পাড়ি দিয়েছে টাইগার হিলে। প্রাথমিক অবস্থার সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে ওই সাইকেল নিয়েই শিলিগুড়ি দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দা তথা জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া প্রতীক ঘোষ ১২ ঘন্টায় শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং হিলে গিয়ে আবার সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
২০১৫ সালে শিলিগুড়ি বিদ্যালয়ে থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় প্রতীক সবুজ সাথী সাইকেল পেয়েছিল। শুরুতে প্রয়োজনমতো ব্যবহার হলেও পরবর্তীতে তা প্রতীকের প্রিয় বাহন হয়ে ওঠে। প্রথমবার ওই সাইকেলে চেপে সে শিলিগুড়ি থেকে অদূরে গুলমার পথ বেছে নেয়। লং রাইড এর অভিজ্ঞতা থাকলেও পাহাড়ি রাস্তা চড়াই এর অভিজ্ঞতা ছিলনা প্রতীকের। তবে স্বপ্ন পূরণে পিছু পাও হয়নি।
এরপর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,৪৮২ ফুট উচ্চতায় টাইগার হিলে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গুগল ম্যাপ ধরে পথ চলা শুরু হয় প্রতীকের। অবশ্য পাহাড়ে জন্য গিয়ার যুক্ত সাইকেল গুলো সুবিধার হয়। সেজন্য চড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না। প্রতীক যখন সাইকেল চালান তার পা ইন্জিনের পিস্টনের মতো ওঠানামা করে। ফলে সাইকেলের যে গতি সৃষ্টি হয় তাতেই পথ চলা।
অবশেষে বেলা ৩ টা নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছয় সে। কিন্তু টাইগার হিলে প্রবেশে যে ৫০ টাকা লাগে সেটা প্রতীকে জানা ছিল না। তখন পকেট এ মাত্র ৪০ টাকা। গেট ম্যানের কাছে কাকুতি মিনতি করে উপায় হয়নি। নাপেরে স্থানীয় এক যুবকের থেকে ১০ টাকা ধার নিতে হয় তাকে। টাইগার হিলের স্বপ্ন সার্থক করে সুস্থভাবে ফের সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরা প্রতীকের।