চায়ের দোকানই খুলে বসলেন এবারে মিম-খ্যাত 'চা-কাকু'

This-time-the-famous-tea-uncle-opened-the-tea-shop-and-sat-down

ঈশিতা সাহা : গতবছর করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে বেরিয়ে চা খেতে এসে এক সাংবাদিকের মুখোমুখি করতে হয় মৃদুলবাবুকে। বাইরে কেন বেরিয়েছেন! সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাব দিয়ে মৃদুল বাবু বলেন, "আমরা কি চা খাব না? খাব না আমরা চা?"এবারে তার এই কথা ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। ট্রোলও হয় প্রচুর।  আবার বাইরে চা খেতে আসায় অনেকর বিদ্রুপের মুখোমুখি হতে হয় উনাকে। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যান চা-কাকু বলে যদিও সবকিছুকেই মজার মত করে মেনে নেন মৃদুল বাবু।

এবারে যাদবপুর এলাকায় বিজয়গরের শ্রীকলোনি বাজারে নিজের বাড়ির সামনেই চায়ের দোকান খুলে বসলেন মৃদুল বাবু। করোনা পরিস্থিতিতে দু হাজার টাকা পুঁজি দিয়েই শুরু করলেন নতুন ব্যাবসা। যদিও চা -কাকু বলে উনার  পরিচিতি আগে থেকেই ছিল। দিন দুয়েক আগে পান, বিড়ি, সিগারেট, চিপস ইত্যাদি খুচরো জিনিস সাজিয়ে দোকানের উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু ছিল না দোকানে। বুধবার থেকে চায়ের ব্যবস্থাও রেখেছেন। আপাতত মাটির ভাঁড়ে ৫ ও ১০ টাকায় চা পাওয়া যাচ্ছে। তবে আগামীতে আরও বড় কিছুর পরিকল্পনা করছেন তিনি।

ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া গুলিতে তার চায়ের ছবি পোস্ট হয়ে গেছে। সকলকে চা খেতে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। উদ্বোধনের দিন তিনি বলেন, " ভাবলাম, সকলের কাছে যখন চা কাকু বলেই পরিচিতি পেয়েছি, তাহলে চায়ের দোকানে খুলে ফেলি। তাছাড়া অন্য কিছু করার মত পুঁজিও ছিল না।"

এর আগে তিনি রাজমিস্ত্রি কাজ করতেন। যদিও এই পরিস্থিতি কাজ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পরিবারে পাঁচ জনের খাবার জোগানো মুশকিল হয়ে পড়ে। একপ্রকার বাধ্য তার মধ্যেই তিনি মিমি চক্রবর্তীর কাছে সাহায্য চেয়ে ছিলেন। সেখান থেকে কিছু টাকা জমিয়ে চায়ের দোকান খোলার পরিকল্পনা করেন মৃদুলবাবু। হাসতে হাসতে বলেন,"পয়সার অভাবে দোকানের সাইনবোর্ড লাগাতে পারিনি। ভেবেছি, দোকানের নাম রাখব ' চা- কাকু'।



Post a Comment

Previous Post Next Post