করোনা ভাইরাসে রক্ষা নেই, তার মাঝেই থাবা বসালো জিকা

করোনা ভাইরাসে রক্ষা নেই, তার মাঝেই থাবা বসালো জিকা
রিয়া গিরি, কলকাতা : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটতে না কাটতেই দেশে হানা দিয়েছে আরেক মারণ ভাইরাস। নাম জিকা, মশাবাহিত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কেরলের অন্তত ১৪ জন। যাদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন বেশ কয়েকজন। মশাবাহিত এই ভাইরাসের সর্তকতা অবলম্বন করেছে কেরোল স্বাস্থ্য বিভাগ।

মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস। প্রথমে শরীরের জ্বর এবং পরে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা, পেশী ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাবার মতো উপসর্গ ছড়ায়। প্রথমে শরীরে রেস বের হয় এবং কনজাংটিভাইটিস সহ দৃষ্টি শক্তির লোপ পায়।যদিও দীর্ঘদিন এই ভাইরাস শরীরের মধ্যে থাকলে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

করোনাভাইরাসে রক্ষা নেই, তার মাঝেই থাবা বসালো জিকা
জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই ভাইরাস ছোঁয়াচে, ফলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে অনেকের মধ্যে। দেশে এক মহামারী কাটতে না কাটতেই আরেক মহামারী সামনে দাঁড়িয়ে।এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে খুব দ্রুত। জিকা ভাইরাস এ আক্রান্ত কোন ব্যক্তিকে যদি এডিস মশা কামড়ায়, তার মাধ্যমেই তার শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে।  জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত কোন ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ানোর পর কোন অসুস্থ মানুষকে কামড়ালে তিনিও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়াও একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই মারণ ভাইরাস।

জিকা ভাইরাসের কবলে পড়ছে অন্তঃসত্ত্বারা। এই ভাইরাস গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। ভ্রূণের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। ভারতে প্রথম এই ভাইরাস প্রবেশ করে ২০১৭ সালে আমেদাবাদে। এই ভাইরাস শিশুর মস্তিষ্কের গঠন ছোট করে দেয়, যে ক্ষেত্রে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 

সূত্রের খবর, ২৪ বছর বয়সী এক অন্তঃসত্ত্বা এই ভাইরাসের কবলে পড়েন, যিনি পরে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।এখনো পর্যন্ত কেরলে ১৩ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে জিকা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়ায়, তাদের নমুনা পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর তাদের চিকিৎসা চলছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে দেশের সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post