ঈশিতা সাহা : সোমবার জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন খুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর সুকান্ত নগর এলাকায় তিস্তায় স্নান করতে যায় আট বছরের বালক মোহাম্মদ আকাশ। সাথে ছিল বন্ধু সাহিদ। অন্যদিন গুলির মত যথারীতি এদিনও দুজনে একসাথে নদীতে নামে। কিন্তু বাড়ি ফেরা হয় না আকাশের। তিস্তার ভয়াবহ জলের স্রোত গভীরে টেনে নেয় আকাশকে।
ঘটনায় পৌঁছে ,স্থানীয় বাসিন্দা ও সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরা তল্লাশি চালায়। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও হদিস মেলেনা বালকের । আকাশকে ঢুবতে দেখে সাহিদ জলে ঝাঁপ দেয় এমনকি হাত দিয়ে ধরে ফেলে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না , স্রোতের বেগ এতই বেশি ছিল যে শত সাহিদের ছোট্ট হাতটি ধরে রাখতে পারেনি আকাশ। নিমেষেই তলিয়ে যায় তিস্তার জলে।
বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আকাশ রায়কতপাড়া সাইবেরিয়ার প্রাথমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। বাবা পেশায় দিনমজুর। ঘটনাটির সময় তিনি বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। এদিন খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পরে সিভিল ডিফেন্সকে তিস্তায় নামিয়ে তল্লাশি চালানো পর্যন্ত
হয়। কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার বলেন, 'সন্ধ্যে পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া শিশুটির হদিস মেলেনি'।
সাহিদ বলে, 'আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। সারাদিন একসঙ্গে খেলাধুলা করতাম'। বন্ধুর হাত একবারের জন্য ধরতে পেরেছিল বলে জানায় সাহিদ কিন্তু টেনে পাড় অবদি তুলতে পারেনি সে। ঘটনায় আকাশে জ্যাঠা হামিদার রহমান বলেন,'ও সাঁতার জানত না। গভীরতা বুঝতে না পেরে হয়তো নদীতে নেমেছিল'।