বিজ্ঞান ও চেতনার মঞ্চের কর্তাদের সামনে বসে নিজে হাতে স্বাক্ষর করছেন গদাধর রায়। ছবিটি তুলেছেন রাজু দাস |
সোমনাথ দাস : উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়ির মাঠ এলাকার ১০২ বছরের বাসিন্দা গদাধর রায় বয়সে সেঞ্চুরি পার করলেও মানসিকতায় বৃদ্ধ হয়নি । কারণ রবিবার নিজের ইচ্ছায় মরণোত্তর দেহদান করবার অঙ্গীকার করলেন তিনি।
এদিন মসলন্দপুর বিজ্ঞান ও চেতনার মঞ্চের কর্তাদের সামনে বসে নিজে হাতে স্বাক্ষর করে মরণোত্তর দেহদান করবার অঙ্গীকার করলেন তিনি । তার মৃত্যুর পরে তার দেহ নিয়ে মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যবহার করুক সেটাই ইচ্ছা তার । আগামী প্রজন্মের সকলে দেহ দান করুক সেটাও চান তিনি । দুবেলা খাবার, তিনবেলা ব্রাশ, সময়ে সময়ে কাজকর্ম, দিনে দুটো করে পেপার পড়া , মাঝেমধ্যে পাড়ার রাস্তা দিয়ে হাঁটতে যাওয়া এখনো এই ভাবেই চলেন ১০২ বছরের গদাধর বাবু ।
ছবি : রাজু দাস |
গদাধর রায় ছোট থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । পরবর্তীতে দলিল লেখক এর কাজ করতেন । স্ত্রী ২০১৮ সালে মারা গিয়েছেন । তিন ছেলে তিন মেয়ের বাবা তিনি।
গদাধর বাবুর ছেলে পঙ্কজ রায় দাবি করেছেন ১৯১৯ সালের আষাঢ় মাসে বাবার জন্ম । আধার কার্ড ভোটার কার্ডে সঠিক জন্ম দিন নেই । বাবার এই কাজে আমরা গর্বিত । এই কাজে অনেক আত্মীয় স্বজনের কাছে হয়তো বা সমালোচিত হতে পারি আমরা কিন্তু বাবার এই কাজের জন্য আমরা গর্বিত ।