ঈশিতা সাহা : খালের জল আর জল নেই পরিণত হয়েছে ' বিষে'। দূষণের মাত্রা এতই ছাড়ালো যে এখন আর দেখা মেলে না রুই, কাতল, শিঙ্গি , মাগুরের। ফলে স্বাভাবিক ভাবে কাজ হারাতে হচ্ছে বহু মৎস্যজীবীদের।
হুগলি ও হাওড়া জেলার মধ্যে দিয়ে চলা রাজাপুর খালের জল এখন
পুরোই কালো, ফলে জাল গুটিয়ে রাখতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের অভিযোগ,২০১৮ সাল
থেকেই জল দূষণ মাত্রা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। ফলে থেমে থাকে কৃষিকাজও। প্রতিদিনকার কাজেও
ব্যবহার করা হতো এই জল কিন্তু এখন তা পুরোপুরি বন্ধ। অনেকেই জানান, খালে স্নান করলে
দেখা দিচ্ছে চর্মরোগ।
চন্ডীতলার বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য ও ডানকুনি শিল্পাঞ্চলের বর্জ্য নির্বিচারে ফেলার ফলে খালের এই অবস্থা বলে জানা যায়। দূষণ রোধে, 'রাজাপুর খাল ও কানা দামোদর কমিটি'র পক্ষ থেকে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে আবেদন পত্র পাঠানো হয়েছে। তবে এর আগে বর্জ্য না ফেলার দাবিতে জনগণের তরফ থেকে প্রচুর আবেদন নিবেদন করা হলেও কোনো সুরাহা মিলেনি। ফলে দূষণ রোধ নিয়ে পরিবেশ কর্মীরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।