অম্লিতা দাস : স্বল্প ব্যয় মিলবে সরকারি চাকরি। প্রতারণার একের পর এক নজির হচ্ছে জনগন। এবার কাটোয়ায় গ্রামের কয়েকশো মহিলা লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার শিকার হন। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের নাম আর সাথেই সরকারি লোগো সহযোগে তৈরি প্রতারণার জাল। কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে বিভিন্ন হস্তশিল্প ও নানান সরকারি দফতরের চাকরির প্রত্যাশা দিয়ে চলেছিলেন প্রতারকরা। সরকারি লোগোর সহায়তায় বিশ্বাস জুগিয়েছেন অনেকেরই।
২১ নখ যুক্ত কচ্ছপ যৌতুক চেয়ে শ্রীঘরে বর
গ্রামের বেশ কিছু অসহায় পরিবার যাদের করোনাকালে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে তারা সরকারি চাকরির প্রত্যাশা পূরণ
করতে চেয়েছেন। সরকারি চাকরি পেলে হাল ফিরবে সংসারে। কিন্তু চাকরি তো নেই, দিনের পর দিন একের পর এক অজুহাতে প্রতারকরা এড়িয়ে গেছেন তাঁদের। ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযোগ করিম কয়েকশো মহিলা।
তাই শনিবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে তিন জনকে আটক করেন পুলিশ। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করছেন পুলিশ। কিভাবে প্রতারনার ছক কষেছেন তারা ও কতজনের সাথে প্রতারণা করেছেন ইত্যাদি। ওই সংস্থার তিন কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
গাছের নিচে গোটা গ্রাম; বঞ্চিত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকেও
প্রসঙ্গত এই ঘটনার সূত্রপাত বছর আগে। কাটোয়া শহরে দেখা দেয় কৌশল বিকাশ কেন্দ্র নামক এক সংস্থা। তারা সরকারি চাকরি পাওয়ার আশা দেয় গ্রামের মহিলাদের। এই আশার দেওয়ার সাথেই মহিলাদের থেকে নেওয়া হয় ৭০০ টাকা করে। অনেক প্রতারিত মহিলারা জানিয়েছেন তাদের থেকে ১২০০ টাকা আবার কাউর থেকে ২৫০০০ টাকা পর্যন্তও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই টাকা দিলেও কাজ পায়না কেউই। বছর ঘুরে যায় তবু একই হাল। কোনো কাজ না পেয়ে ক্ষুব্ধ মহিলারা সকলে অভিযোগ জানায় পুলিশের কাছে।
নদীর কচুরিপানা থেকে কালী মায়ের প্রকট; পুজোয় মাতল গ্রামবাসীরা
কাটোয়ার শ্রীরাম কমপ্লেক্সে জমায়েত করে বৈঠক করেন তারা আর তারপর সংস্থার কাছে গিয়ে বিক্ষোভ জানায়। চরম হল্লা সৃষ্টি হয় অঞ্চলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কাটোয়া থানার পুলিশ। পুলিশ এসে তাদের অভিযোগ নেই ও তিনজনকে আটক করে। ঘটনার তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দিয়ে মহিলাদের ফেরত পাঠান পুলিশ।