শ্রমণ দে : এদিন ম্যাচে টস হওয়ার পরে দলে ক্রিকেটার পরিবর্তন করে অস্ট্রেলিয়া। হ্যাজেলউডের জায়গায় মাঠে নামেন ওয়েস আগার।
সিরিজে সমতায় ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ৪ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়াকে। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নিকোলাস পুরান। এদিন তিনি ৭৫ বলে করলেন অপরাজিত ৫৯ রান। এদিন টস জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কেনসিঙ্গটন ওভাল বার্বাডোসে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই বেন ম্যাকডারমট আউট হন। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই আউট হন ৩ অজি ব্যাটসম্যান। টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একটা সময়ে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
টানা ১০ বল মানে ১০ উইকেট ও তিন হ্যাটট্রিকের সুযোগ
১৯
রান করা মিচেল স্টার্ককে হেইডেন ওয়ালশ আউট করেন। তখন দলের রান ছিল ৭ উইকেট ৯৬। এরপরে দলের হাল ধরেন সিরিজেই অভিষেক হওয়া ওয়েস আগার। ৩৬ বলে তিনি করলেন ৪১ রান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন অ্যাডাম জাম্পা। জাম্পা করেন ৬২ বলে ৩৬ রান। শেষ পর্যন্ত ১৮৭ রানে শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
জবাবে অতি সহজেই নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৮ ওভারের মধ্যেই খেলা শেষ করে দেন নিকোলাস পুরানরা। ৩৮ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৯১ রান তোলে কায়রন পোলার্ডের দল। নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে প্রথম দিকে তারাতারি ব্র্যাভোদের উইকেট হারালেও পরের দিকে পরিস্থিত সামলে নেয় ক্যারেবিয়ানরা। ষষ্ঠ উইকেটে জেসন হোল্ডার ও নিকোলাস পুরান ৯৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। অপরাজিত ৭৫ বলে ৫৯ রান করে মাঠ ছাড়েন ম্যাচের সেরা পুরান।
ভর উত্তোলনে মীরাবাই চানুর হাত ধরে টোকিও অলিম্পিকসে ভারতের প্রথম পদক জয়
তবে এদিনের ম্যাচে এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে যায়। এদিন ম্যাচে টস হওয়ার পরে দলে ক্রিকেটার পরিবর্তন করে অস্ট্রেলিয়া। জোস হ্যাজেলউডের জায়গায় মাঠে নামেন ওয়েস আগার। এদিন তিনি অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন। তবে এদিন ওয়েস আগারকে নামানোর জন্য সম্মতি দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে ২০০৯ সালে একই ঘটনা ঘটেছিল। সেবার আঙুল ভেঙে যাওয়ার জন্য ব্র্যাড হ্যাডিন ছিটকে গিয়েছিলেন।