রিয়া গিরি : শিশু পাচার কান্ডে সবার উপরের নাম উঠে আসছে বাঁকুড়ার। শুক্রবার কলকাতা থেকে সিআইডির পাঁচ সদস্যের টিম শিশু পাচার কান্ডের তদন্তভার নিল। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু খুঁটিনাটি বিষয় খুঁজে বের করার লক্ষ্য সিআইডি আধিকারিকদের। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এর মূল অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল কমলকুমার রাজারিয়ার বক্তব্যে অসঙ্গতি মিলছে বলে জানা গিয়েছে, তাই কত শিশু পাচার হয়েছে তার মাধ্যমে এবং তাদের কাদের কাছে পাঠানো হয়েছে সেটি খুঁজে বের করার লক্ষ্যেই সিআইডি আধিকারিকরা এসে পৌঁছান বাঁকুড়ায়।
আর দেখুন ঃ গণপরিবহনে মহিলাযাত্রীদের সুরক্ষার্থে বিশেষ উদ্যোগ হাইকোর্টের
বাঁকুড়ার শিশু পাচার কান্ডের তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে অফিসাররা জেনেছেন, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল অনেকদিন ধরেই শিশু বিক্রির চক্র চালাচ্ছিলেন। শুধু তিনি একা নয়, তাকে সঙ্গ দিতেন আরো অনেকেই। ইতিমধ্যেই প্রিন্সিপালের মোবাইল কললিস্ট তদন্ত করে দেখছেন সিআইডিরা। কার কার সাথে তার যোগাযোগ ছিল, তা জানতেই কললিস্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর,স্কুলে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের টার্গেট করতেন ওই প্রিন্সিপাল এবং তাদের বিভিন্ন ভাবে মগজ ধোলাই করে এবং পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে বাড়ি থেকে বের করে আনা হতো। পরে ওই সমস্ত পড়ুয়াদের পাচার করে দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। ছাড়াও পাশাপাশি ওই অঞ্চলে পিছিয়ে পরা মহিলাদের খোঁজ চলত, কাদের পুত্র ও কন্যা সন্তান আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে তাদের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের কাছে আনতেন তিনি।
আর দেখুন ঃ মাছে ঢাকা নদী, চিন্তায় পড়লেন গ্রামবাসীরা
কিশোর-কিশোরীদের পাচার করার জন্য নিয়ে আসা হতো এবং
তাদের রাখার জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন ওই প্রিন্সিপাল ও তার সঙ্গীরা। রাজারিয়ার সঙ্গে যে সমস্ত নিঃসন্তান দম্পতিরা যোগাযোগ করতেন, তাদের টাকা পয়সা নিয়ে বাঁকুড়ায় আসতে বলা হতো। পরে তাদের হাতে পাচার করা ছেলেমেয়েদের তুলে দেওয়া হতো। সমস্ত কাজের দেখভাল করত প্রিন্সিপালের শাগরেদরা।
আর দেখুন ঃ বাঁকুড়ার শিশু পাচার কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি
ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া ৫ জন শিশু সন্তানকে নিজের সন্তান বলে দাবি করেছেন যে মহিলা, তার ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং শিশুসহ মহিলার ডিএনএ টেস্ট করানো হচ্ছে। বাংলার কোথায় কোথায় শিশু পাচার চক্রের জাল ছড়িয়েছে সেটি খুঁজে দেখছেন সিআইডি আধিকারিকরা।