ছবি : আনন্দ ভট্টাচার্য |
ঈশিতা সাহা : নতুন বছর, নতুন নিয়ম। কিন্তু বারবার শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে এই নিয়ম বদলে প্রতিবারই সমস্যায় পড়তে হয় কলেজ পড়ুয়াদের। পরীক্ষা সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা মানতে নরাজ এবারে কোচবিহারের পলিটেকনিকের পড়ুয়ারা। বিক্ষোভে তারা জানায়, নয়া নির্দেশিকায় এবারে পরীক্ষা দেওয়া খুবই অসুবিধাজনক। পড়ুয়াদের অভিযোগ, নতুন বিধিমেনে সকলের কাছে দুটি ফোন থাকা আবশ্যক। কিন্তু করোনা কালে সকলেই আর্থিক টানাপড়ায় মধ্যে রয়েছে। অধিকাংশ - এর কাছেই দুটো এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে এলাকায় নেটওয়ার্কের সমস্যা বরাবরই। পলিটেকনিক এর অধ্যক্ষ পূজন সরকার বিষয়টিকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি।
পলিটেকনিকের চতুর্থ ও ষষ্ঠ সেমিস্টারের পড়ুয়াদের সোমবারে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘটনার জেরে সেই পরীক্ষা পিছিয়ে আগামী ২২ শে জুলাই নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পূর্বেও নয়া বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করা হয়েছিল কোচবিহারের পলিটেকনিক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে।
ছবি ঃ আনন্দ ভট্টাচার্য |
এবার ফের পরীক্ষার
নিয়ম বদল এর দাবি নিয়ে বিক্ষোভ জানায় পরীক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে পলিটেকনিক এর
সামনে ও পঞ্চানন মোড় এলাকায় মাথাভাঙ্গা - শীতলকুচিরোডে দফায় দফায় পথ অবরোধ করে
তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
ছাত্র আন্দোলনকারীদের একজন জানান, নোটিশের মাধ্যমে যে নিয়ম বিধি তৈরি করা হয়েছে তা কখনোই সাধারণ মধ্যবিত্ত পড়ুয়ার পক্ষে সম্ভব নয়। তিন ঘন্টার গুগোল মিটে সেমিস্টার চলাকালীন একটি ফোন থেকে পরীক্ষার্থীরা কি করে প্রশ্নপত্র দেখবে। যদিও ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শিক্ষক আধিকারিকরা কোন রকমের মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।