ঈশিতা সাহা : চোখের মনি থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ট্যাটু, বাদ যায়নি প্রাইভেট অঙ্গগুলো। ট্যাটু গ্রাফার করণ তৈরি করে একটি বিশ্বরেকর্ড যা গিনেস বুকে নাম রয়েছে।
দিল্লির পাঞ্জাবি বাগানে থাকেন করণ সিধু। তার নিজস্ব ট্যাটু পার্লার রয়েছে। এখন তার বয়স ৩২।১৬ বছর বয়স থেকেই সিধু নিজের শরীরে ট্যাটু আঁকতে শুরু করেন, আর এখন বাদ নেই শরীরের কোন অংশ।
মাথা, হাত, পায়ে ট্যাটু তো স্বাভাবিক ব্যাপার। করণের জিব্বা তেও ট্যাটু আছে। জিব্বা কেঁটে
দু- ভাগ হয়েছে সাপের মত । কারণ ট্যাটু - জন্য তিনবার অপারেশন করতে হয়েছিল। দাঁতও লাগিয়েছে লোহার। করনের কানও বিচিত্র ধরনের।নিউ ইয়র্কে গিয়ে চোখের ভিতরে বলগুলিতে ট্যাটু করিয়েছেন।এরকম অদ্ভুত কর্মকাণ্ডের নিরিখে করন বলেছেন,'নিজের আবেগ ও স্বপ্ন পূরণের জন্য সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছিল'। ট্যাটু করবার সময় অনেক বার অজ্ঞান হয়ে যায় সে। কিন্তু থেমে থাকেনি একবারের জন্য। পরিবারের সবাই করনের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তার বাবা নিজে একজন ফটগ্রাফার।
করণ বলেছিল যে সে হলো ভারতের প্রথম ব্যক্তি যে সুট ট্যাটু পেয়েছে। দেহে যে সমস্ত অংশে ট্যাটু করার সম্ভাবনা মাত্র১% সেখানেও তিনি ট্যাটু করিয়েছেন। নিজের নামও নিজেই ট্যাটু গ্রাফার করন ঠিক করেছেন। এমনকি আধার কার্ডেও করণ তার নাম ট্যাটু গ্রাফার করণ দিয়েছে। একই সাথে করন জানায় যে খুব শীঘ্রই তার জীবন নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ হতে চলেছে।
২০১০ সালে ঋষি নামে এক ভারতীয় ব্যক্তির সাথে মিলে করণ গিনেস বুকে নাম তুলেছিল। ওই ব্যক্তির শরীরে ১৯৯ টি পতাকার ট্যাটু করে দিয়েছিল করন।