সার্বভৌম সমাচার : শিশু পাচার কান্ডে অবশেষে সি.আই.ডি র হাতে এল চুক্তিপত্র। শিশু লেনদেনের ক্ষেত্রে দু পক্ষের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে সি আই ডি। চুক্তি পত্র হাতে আসার পর ওই চুক্তিপত্রের বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে শিশু পাচার কান্ডের ঘটনায় সতীশ ঠাকুর সহ চার অভিযুক্তর আজ সি.আই.ডি হেফাজতের সময়সীমা শেষ হওয়ায় আজ অভিযুক্তদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ওই চারজনকে আগামী ২ আগষ্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
ট্রাকের চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর
শিশু পাচার কান্ডের ঘটনায় বাঁকুড়া জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া সহ তিন প্রধান অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই দু পক্ষের মধ্যে শিশু লেনদেন সংক্রান্ত চুক্তিপত্রর কথা জানতে পারে সি.আই.ডি র তদন্তকারীরা। চুক্তিপত্রর কথা জানার পরই তা উদ্ধারে উদ্যোগী হয় তদন্তকারীরা। অভিযুক্ত সতীশ ঠাকুরের কাছে ওই চুক্তিপত্র রয়েছে জেনে তাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে হানা দেয় সি.আই.ডি। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় এই চুক্তিপত্র। আদালতের স্ট্যাম্প পেপারে এই চুক্তিপত্র লেখা হয়েছিল।
ভারতে চালু হলো এক রেশন কার্ড নীতি
এই চুক্তিপত্রে কি লেখা রয়েছে তদন্তের স্বার্থে সি.আই.ডি এখনই তা বলতে রাজী নয়। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবীর দাবি ওই চুক্তিপত্র খতিয়ে দেখে সি.আই.ডি র তদন্তকারীরা দুপক্ষের মধ্যে আর্থিক কোনো লেনদেনের বিষয় খুঁজে পায়নি। ওই আইনজীবীর দাবি পাঁচ শিশুর মা রিয়া বাদ্যকর পাঁচ সন্তানকে ঠিকমতো খাওয়াতে পারছিলেন না। সে কারনেই তিনি এক শিশু সন্তানকে বাঁকুড়া জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের নিঃসন্তান শিক্ষিকা সুষমা শর্মা ও তাঁর স্বামী সতীশ ঠাকুরের কাছে রেখে এসেছিলেন। এখানে কোনো বে আইনী লেনদেন বা আর্থিক কোনো লেনদেনের ঘটনা ঘটেনি। এই কান্ডে উদ্ধার হওয়া পাঁচ শিশু অন্যতম অভিযুক্ত রিয়া বাদ্যকরেরই সন্তান তা প্রমাণের জন্য অবিলম্বে ডি এন এ পরীক্ষার দাবি তুলেছেন অভিযুক্ত পক্ষের আরেক আইনজীবী।