ঈশিতা সাহা : শিক্ষাক্ষেত্রে 'কন্যাশ্রী' যেমন পরিবারের চিন্তা কম করেছে তেমনি 'রুপশ্রী' দূর করেছে বিয়ের দুশ্চিন্তা। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা কে এখন আর হাত পাততে হয় না মেয়ের বিয়ের টাকা জোগাড় এ। পাত্রীর হাতে পৌঁছে যাচ্ছে সরকারি অর্থ সাহায্য। তাই পাত্রীপক্ষ বলেছে, 'রুপশ্রী'দিচ্ছে নিশ্চয়তা। রাজ্যে ভোট চলাকালীন ও করোণা কালেও বন্ধ থাকেনি এই প্রকল্পের কাজ। ফলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'রুপশ্রী' প্রকল্প বিশ্বদরবারে প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
সমাজ কল্যাণ দপ্তর সূত্রে খবর, ২০২০-২১ - এ
৩ লক্ষ ১২ হাজার পাত্রীর কাছে পৌঁছে গেছে সরকারি সাহায্য। গতবছর
আবেদন পত্র সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ্য ৩৬ হাজার কিন্তু কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তার থেকে
কিছু বাতিল করা হয়।
সেই সঙ্গে এ বছর ছিল বিধানসভা ভোট। যেসব মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে
,তারা অনুমান করে ভোটের কারণে সমস্যায় পড়তে হবে। কিন্তু সেদিকে কড়া নজর রেখেছে রাজ্য
সরকার, আটকে থাকেনি প্রকল্পের কাজ।
নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন,
চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ৪ লক্ষ্য পাত্রীকে
' রুপশ্রী' অর্থ সাহায্য দিয়েছে মমতার সরকার। গত মে মাসে আবেদন
জমা পড়েছিল ৩৫,৮২২ টি। মঞ্জুর হয় ১৫,৪১০ টি। বাতিলের খাতায় পড়ে মাত্র ৪২৭ টি আবেদন।
যাদের আবেদন জমা পড়েছিল তাদের আর্থিক সাহায্য পৌছে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক একাউন্টএ । নিয়ম অনুযায়ী, যেসব পরিবারের বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ টাকা বা তার কম, সেইসব পরিবারে প্রাপ্তবয়স্ক কন্যারা ২৫ হাজার টাকা পাবেন 'রুপশ্রী'প্রকল্পের মাধ্যমে।