ঘটনাটি ঘটে বীরভূম জেলার নলহাটির ২ নম্বর ব্লকে। ঘটনায় তদন্ত চালায় পুলিশ। তদন্তে জানা যায় রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা প্রাপ্যদের মধ্যে কারো কারো বিয়ে হয়ে গেছে ৪ বছর আগেই। আবার কেউ ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার করছে। ঘটনার পর থেকে টাকাপ্রাপকরা পলাতক হয়েছেন। এরপরই নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের বিডিও ভুয়ো ৮ জন টাকা আদায়কারীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়।
ব্লক প্রশাসনের দাবি, পঞ্চায়েত প্রধানের সার্টিফিকেট এর ভিত্তিতেই সরকারের তরফ থেকে টাকা দেওয়া হয়। যদিও তৃণমূল থেকে অভিযোগ উঠেছে, আধিকারিকরা নিজেরা তদন্ত করে তবেই টাকা দিচ্ছে তাহলে এই কাজের সাথে তারাও যুক্ত আছে। নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেলিমা খাতুন বলেন, সমস্ত কিছু নথিপত্র তদন্তের পরই আধিকারিকদের টাকা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যদি গাফিলতি হয়ে থাকে তবে সেটা তাদের। এই প্রকল্পের জন্য সভাপতি কোন রকমের লিখিত প্রমাণ দেয় না। তবে পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে সই দিতে হয় সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত দায় অমান্য করতে পারবেন না।
ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ব্লকের নেওয়াপাড়া এলাকায় ৮ জন ব্যক্তি রুপশ্রীর জন্য ২৫ হাজার টাকার সরকারি অনুদান জানায়। ওই ব্যক্তিদের বিয়ের কার্ড, পঞ্চায়েত সই ও অন্যান্য নথিপত্র ভিত্তিতে টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তদন্তে জানা যায় ওই আধিকারিকরা নথিপত্র দেখিয়েছিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্তের জন্য ব্লক প্রশাসন ৬ জন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন।
এরপর নওয়াপাড়া গিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার প্রায় সবাই ভুয়া পরিচয় দিয়ে নকল কার্ড দেখিয়ে টাকা আদায় করছিল। বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী জানান, গত সপ্তাহে আধিকারিকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে তাদের শুনানির জন্য ডাকা হয়, কিন্তু উপস্থিত না থাকায় বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।