ঈশিতা সাহা : ফল প্রকাশে ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই উচ্চমাধ্যমিকে মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে একাধিক রাজ্যের স্কুল পড়ুয়ারা। কোথাও পথ অবরোধ, কোথাও টায়ার পুড়িয়ে আবার কোথাও স্কুলশিক্ষকদের আটক করে রাখার অভিযোগ উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদ, আরামবাগ, উলুবেরিয়া, শান্তিপুর, বেহালা, চন্দননগর, বীরভূম সহ একাধিক জায়গায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উলুবেড়িয়ার তেহটটো হাইস্কুলে প্রজেক্টে নম্বর কম দেওয়ার ক্ষোভে।
ভয়াবহ বন্যা ও হড়পা বানের মুখে মহারাষ্ট্র, মৃত ৪৭
স্টাফ রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয় পড়ুয়ারা। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি স্কুলে ভাঙচুর চালায় পড়ুয়ারা। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যায় বেশ কিছু জায়গায়। হাওড়ার আন্দুলে পথ অবরোধের মাধ্যমে অভিযোগ জানায় পড়ুয়ারা। অকৃতকার্য হওয়া ৭২ জন পড়ুয়া
তাদের অভিভাবক সহ
পথে নেমে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ আন্দোলন করে। পরে শেষমেষ পুলিশ এসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিক্ষোভ সামাল দেয়।
বাপের বাড়ি না যেতে পেরে, সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মঘাতী গৃহবধূ
পাশাপাশি উলুবেড়িয়ার কল্যানব্রত সংঘ উচ্চ বিদ্যালয় ও বাউরিয়া খাজুরি উচ্চ বিদ্যালয়েও অনুত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের গেট আটকে দেয়। তাদের অভিযোগ, স্কুল একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর প্রজেক্ট এর নম্বর কম দিয়েছে বলেই তারা ফেল হয়েছে। কোন কোন স্কুলে ৫০ জনের বেশি ফেল, আবার কোথাও নম্বর কম, আবার অনেকেই পরীক্ষা না দিয়েও বেশি নম্বর পাস করার মত অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভের হাত থেকে রেহায় পায়নি এবারে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকারী রুমানা সুলতানার স্কুলও।
মাছে ঢাকা নদী, চিন্তায় পড়লেন গ্রামবাসীরা
শান্তিপুর-ভালুকা রাজ্যে সড়ক অবরোধে ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন,'কোথাও একটা সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি আমরা উপরমহল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কাউন্সিল যাতে বিষয়টি দেখে সে ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছে।'