সূত্রের খবর, বেতন কেন ঠিকমতো পাচ্ছেন না ও পেনশন প্রাপকদের অসুবিধার কথা জানিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। দেশের কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক কারণ জানতে চাইলেও, কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো জবাব দেননি। বর্তমানে প্রায় ৫০০ কর্মী, ৬০০ অধ্যাপক, ২০০ জন নিরাপত্তারক্ষী সহ ৩০০ জন অস্থায়ী কর্মী বিশ্বভারতীতে রয়েছেন, তারা সহ ১৮০০ জন পেনশন পান নি। তাদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসের পেনশন তারা এখনো পাননি। বিশ্বভারতীর প্রতি মাসে বেতন ও পেনশন দিতে মোট খরচ হয় প্রায় ২৪ কোটি টাকা, যা পেনশন প্রাপকদের খাতায় এখনো পর্যন্ত পৌঁছয়নি।
চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীর পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য, বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষকে আবেদন করা হলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। ফলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা নিজেদের খরচ নিজেরাই বহন করছেন। বিশ্বভারতী সংলগ্ন এলাকায় কোন হেল্প সেন্টার বা হাসপাতাল না থাকায় তারা চিকিৎসার জন্য অনেক অসুবিধার মুখে পড়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য তাদের বাইরে যেতে হচ্ছে। ঠিকমতো বেতন এবং পেনশন না পাওয়ায় তাদের পক্ষে নিজেদের চিকিৎসা এবং রোজকার জীবনের খরচ বহন করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।