রিয়া গিরি : মাঝেমধ্যে শোনা যায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন সন্তানরা।এই অবস্থায় অসহায় ভাবে রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বৃদ্ধ বাবা মায়েরা। তাদের কথা ভেবেই এবার নতুন আইন আনছে আসাম সরকার।ছেলে মেয়ে বেঁচে থাকলে মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখা চলবে না, ঠিক এমনই আইনি আনতে চলছে অসম।
দিনদিন বৃদ্ধাশ্রম সংখ্যা বেড়ে চলেছে, কেউ হয়তো বিদেশে পাড়ি দিয়ে বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে গেছেন, আবার কেউ কেউ বাবা মায়ের দায়িত্ব নেওয়ার ভয়, আবার কেউ হয়তো,সম্পত্তি দখল করে তাদের রাস্তায় বের করে দিয়েছেন। দেশজুড়ে প্রায়ই এমন ঘটনা প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়।
বাবা মায়ের প্রতি এইরূপ ঘৃণ্য আচরণ এর ওপর
অসম সরকার
কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন। যৌথ পরিবার ভেঙ্গে বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর যেন এক ট্রেন্ড শুরু হয়েছে।
নাতি নাতনীদের থেকে, নিজের জন্মস্থান, সবকিছু ছেড়ে তাদের ঠাঁই নিতে হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। কেউ কেউ নিজের ইচ্ছেতে, আবার
কেউ অসহায় হয়েই বৃদ্ধাশ্রমের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছেন।'যেসব সরকারি কর্মী বাবা-মার ভালো দেখভাল করবেন না, তাদের বেতন এর অংশ সরাসরি বৃদ্ধ বাবা আমার একাউন্টে পাঠানো হবে' এই আইন আগেই করেছে অসম সরকার। তার মতে রাজ্যে ক্রমশই বেড়ে চলা বৃদ্ধাশ্রম এর সংখ্যা কোনো ভালো ইঙ্গিত নয়, ছেলেমেয়েরা যত বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকবে, ততই সংস্কার শিখবে।
যদিও এই ঘোষণার বিপক্ষে অনেকেই বলেছেন,
যেসব ছেলেমেয়েরা বাইরে চাকরি করেন, তারা ঠিকমতো বাবা মায়ের যত্ন নিতে পারেন না। আর তার জন্য তারা মাসে টাকা পাঠিয়ে বৃদ্ধাশ্রমের তাদের রেখে দেন। সেখানে বাবা-মায়েদের ভালোভাবে যত্ন নেওয়া হয়। তাদের মতে এতে, বাবা-মায়েরা কোনভাবেই তাদের দায়িত্বের বাইরে থেকে যাচ্ছেন না। আবার অনেকেই বলেছেন বয়স্কদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া, সম্পত্তি দখল করে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর সংখ্যা কম হবে এই আইন লাগু হওয়ার পর। অসম সরকারের নতুন আইন নিয়ে আশার আলো দেখছেন বয়স্করা।