ঈশিতা সাহা ও অম্লিতা দাস : মাধ্যমিক পরীক্ষার চরম সফলতা এবারে অভিভাবকদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিন্তা এই বিপুলসংখ্যক পড়ুয়ারা কিভাবে একাদশ শ্রেণিতে ঠাঁই পাবে! পাশাপাশি একাদশ শ্রেণির ভর্তি নিয়ে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করেছে স্কুল গুলি। প্রশাসন সূত্রে খবর, একাদশ শ্রেণীর ভর্তি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সাথে স্কুল গুলি আগে থেকেই বৈঠক শুরু করেছে। উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে একাদশ শ্রেণির জন্য পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস।
মঙ্গলবার মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের থেকে ফল ঘোষণার পরই অভিবাবকদের
প্রশ্ন ওঠে, একাদশে কিভাবে ঠাই পাবে এত সংখ্যক পড়ুয়া? নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে
পড়ার সুযোগ আদৌ পাবে প্রত্যেকে?
তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে বিজ্ঞান শাখার ছাত্র-ছাত্রীরা।
কারণ বিজ্ঞান বিভাগে প্রাক্টিক্যাল ক্লাস অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কলা বিভাগের ভূগোলের
জন্য প্রাক্টিক্যাল ক্লাস এর প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এদিন সংসদ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া
হয়, অংক, স্ট্যাটিসটিকস, পদার্থবিদ্যা, জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার সাইন্স ও ভুগোল এই সব
বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনা করতে মাধ্যমিক বা সমমানের অন্য বোর্ডের পরীক্ষার ন্যূনতম
৪৫ শতাংশ নম্বর প্রাপ্ত হতে হবে। যদিও ৯০ শতাংশ পড়ুয়া প্রথম বিভাগে পাস করায় প্রায়
অধিকাংশ বিষয়গুলোতেই ৪৫ শতাংশ নম্বর এসে গেছে। এবারে এত নম্বর প্রাপ্ত সবাইকে ইচ্ছানুরূপ
বিষয়গুলি তে ভর্তির সুযোগ দেওয়া কঠিন হবে।
অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির সম্পাদক তরুণ নস্কর বলেন,"মূল্যায়নের
যে পদ্ধতি রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিল, তাতে পাশের হার যে ১০০ শতাংশ হতে পারে, সেই আশঙ্কা
আমাদের ছিল। এর ফলে বহু মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর ফল আশানুরূপ হবে না। উচ্চশিক্ষায় পছন্দের
বিষয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড সমস্যার সম্মুখীন হবে।"
শিক্ষকদের অনুমান, নিজের স্কুলে একাদশে ভর্তি হতে পড়ুয়াদের
সমস্যা না দেখা দিলেও অন্যান্য বোর্ড থেকে যেসব শিক্ষার্থীরা কম খরচে সরকারি স্কুলে
ভর্তি হতে আসে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।