রিয়া গিরি : বেশ কিছুদিন ধরে রাজ কুন্দ্রার ব্যাপার সামনে আসতেই, প্রশাসন মধু চক্রের সূত্র খুঁজে বের করতে হয়েছেন। এই নিয়েই বড়োসড়ো পর্দা ফাঁস করে, দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলের তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই জল চক্রের মূল পান্ডা কম্বোডিয়ায় রয়েছে। আর সেখান থেকেই সমস্ত নেটওয়াক নিজ হাতে কন্ট্রোল করছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ৩০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে এই চক্রের বিরুদ্ধে। আচমকাই মেসেজ পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েক জন তাতেই ধরা পরল এই বিরাট জালচক্রের।
১৫ই আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে বহাল করোনা বিধি, এবারও বন্ধ লোকাল ট্রেন
পুলিশের দাবি,কেউ কোনো অশ্লীল ওয়েব সাইটে ঢুকে পড়লে সাধারণভাবে সার্ফিং করার সময়, আচমকা একটি মেসেজ পপ আপ করতে দেখেছেন অনেকেই। সেই মেসেজ পুলিশের তরফ থেকে করা হচ্ছে বলে দাবি করা হতে থাকে। সেই সঙ্গে একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়।সেই লিংকের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আদৌ পুলিশের তরফ থেকে সেরকম কোন এসএমএস কাউকে পাঠানো হতো না। কিছু সন্দেহ প্রবন মানুষ পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং তখনই প্রকাশ্যে আসে ঘৃণ্য চক্রান্তের হদিশ। যদিও অনেকেই ৩ হাজার টাকা জমা দিয়ে দিয়েছেন ভয়েই।ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করলে জানা যায়,তামিলনাড়ুর এক ব্যাংক একাউন্টে সেই টাকা জমা পড়ছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টগুলো ভুল ঠিকানা দিয়ে খোলা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরা না গেলেও কয়েকদিনের মধ্যেই সন্ধান মিলেছে তিনজনের। আর কোথায় কোথায় এই চক্রের জালিয়াতির টাকা জমা হচ্ছে খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।