ঈশিতা সাহা : বিগত দিনের টানা বৃষ্টিতে ভাসছে মহারাষ্ট্র। মুম্বাই শহর পুনে একাধিক অঞ্চলে তৈরী হয়েছে বন্যার পরিস্থিতি।রাতভর বৃষ্টির জেরে রাজ্যের কঙ্কন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা ও হড়পা বান।
আরও পড়ুন ঃ বাঁকুড়ার শিশু পাচার কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি
পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া এবং অঝোরে বৃষ্টিতে নাসিক, রত্নগিরি, মহাবালেশ্বর এলাকার অবস্থা শোচনীয় বলে সূত্রে খবর। বন্যা ও বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। গত ৪০ বছরে জুলাই মাসে এরকম বৃষ্টির মুখ দেখেনি মহারাষ্ট্র। জলমগ্ন হয়ে পড়েছেন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। রায়গর জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের অন্যদিকে সাঁতারার পোলারপুড়ে মৃত্যু সংখ্যা ৮ জন।
আরও পড়ুন ঃ মাছে ঢাকা নদী, চিন্তায় পড়লেন গ্রামবাসীরা
ইতিমধ্যে বন্যায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ বলে জানিয়েছেন।
বিপর্যস্তদের উদ্ধারের কার্য চালানো হচ্ছে হেলিকপ্টার এর মাধ্যমে। চিপলুন জেলার মিজলি গ্রাম থেকে গবাদি পশু সহ ৫৬ জন গ্রামবাসীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কোলাপুরের ভুদরগড়
তহসিলের পাঙ্গীরে গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ জনকে। এরা সকলে বাসসুদ্ধ একটি নদীতে পড়ে ছিলেন।
অন্যদিকে কঙ্কন রেলপথের একটি বড় অংশ ভেঙে যায়, যার জেরে ওই লাইনের সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। পাশাপাশি বন্যার ফলে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিকেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।জেলার বিভিন্ন অংশে লাল সর্তকতা জারি করেছে সরকার।এরকম বৃষ্টি আরো কয়েকদিন হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
আরও পড়ুন ঃ টেস্টে না খেলেই দেশে ফিরছেন কোহলির দুই সতীর্থ! সিরিজ শুরুর আগেই ভয়াবহ দুঃসংবাদ
মহারাষ্ট্রের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী টুইটারে জানিয়েছেন, 'পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাবতীয় সহায়তা দেওয়া হবে।'