কিন্তু কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর করা কি আদেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করে? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এমন মন্তব্য দুই দিক বুঝেই করা অর্থাৎ মতুয়াদের কাছে বিজেপির প্রতিশ্রুতি নাগরিকত্ব এনে দেওয়া আবার এই মুহূর্তে সিএএ কার্যকর করাও সম্ভব না, বিরোধী পক্ষের বিরোধিতা তো থাকবেই তাই সিএএ এখনই কার্যকর না হওয়ার এক স্পষ্ট কারণ দেওয়া যাবে। সংশোধিত নাগরকিত্ব আইন নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মতপার্থক্য অনেকদিনের। বিজেপিদের মতে সিএএ এর হাত ধরে জনগণের নাগরিকত্ব এনে দেওয়া জরুরি আবার তৃণমূলের মনে হয়, জনগনের নাগরিকত্ব তো আছেই। আছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, তারা ভোট ও দিচ্ছেন এর পরেও নাগরিকত্ব আইন অপ্রয়োজনীয়।
এই নিয়েই উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল সভাপতি ও বনমন্ত্রী আবারও স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, "রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা তা করতে দেবই না। আমাদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড তো আছেই। আমরা ভোট দিই। আমরা সকলেই নাগরিক। তাই নতুন করে নাগরিকত্ব নেওয়ার প্রশ্ন নেই। দিলীপবাবু রাজনৈতিক বিষয় পারদর্শী নন। সিএএ, এনআরপি, এনআরসি সম্পর্কে ওনার নিজেরই বোঝার দরকার !’’