রিয়া গিরি : ঘটনাটি অবিশ্বাস্য হলেও ঠিক এমনটাই ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জালামপুর থানার পাচড়ার চপ তেলেভাজার বিক্রেতা হিমাংশ সেনের সাথে।১ টাকা পিস ধরে চপ ও অন্যান্য তেলেভাজা বিক্রি করে লাখপতি হয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর চপ শিল্পের কটাক্ষ কে না করেছে,সেই শিল্প কে
কাজে লাগিয়ে যে কেউ লাখপতি হবে একথা কেউ আগেও ভাবেনি।হিমাংশ সেন নামে এক ব্যক্তি এক
টাকা মূল্যের চপ বিক্রি করে খুব সাধারণ ঘরের ব্যবসায়ী থেকে হয়ে উঠেছেন বিত্তশালী।
তিনি প্রথম থেকেই মনে করতেন কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যেও ষোলআনা কাজে দেবে। অর্থাৎ
তাঁর এই এক টাকা পিস ধরে চপ ও অন্যান্য তেলেভাজা করে তুলবে তাকে বিত্তশালী। বাড়ির
কাছেই রয়েছে তার প্রসিদ্ধ চপ তেলেভাজার দোকান খুলে যায় দুপুর ৩ টায়। দোকানের এক
ধারে বসে গ্যাসের উননে গরম তেলের কড়াইয়ে ফুলুরি, সিঙ্গারা, ভেজিটেবিল চপ, আলুর চপ
এবং হরেক রকমের চপ ভাজে হিমাংশু।দোকানের ভিড় সামাল দিতে থাকে হিমাংশু বাবুর স্ত্রী
বন্দনা দেবী ও ছেলে কাশীনাথ ও পুত্রবধু শম্পা। শুধু চপ নয় চপ ছাড়াও ঘুগনি বিক্রি
করে তিনি হয়ে উঠেছেন লাখপতি।
চপ, ঘুগনির ব্যবসা তো অনেকেই করে কিন্তু হিমাংশু বাবু প্রায় ৩০ বছর ধরেই এক টাকা মূল্যের চপ তেলেভাজা বিক্রি করে আসছেন। এর আগে তিনি মাত্র কুড়ি পয়সায় বিক্রি করতেন এবং এক প্লেট ঘুগনির দাম ২ টাকা নিতেন।
শুধুমাত্র গরিব নয় সমস্ত রকমের সম্পত্তিশালী মানুষের ভিড় দেখা যায় তার দোকানের সামনে। তিনি ২ প্লেট করে ঘুগনি বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০থেকে ৭০০ টাকা লাভ করেন।এই ঘুগনি বিক্রি করেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তিনি আবার বাড়িও করেছেন। নিজের পরিবারের সমস্ত খরচ তিনি নিজ কাঁধে নিয়ে চলেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন কোন কাজই ছোট নয় এবং চেষ্টা থাকলে সমস্ত কিছু করা সম্ভব।