যৌনপল্লীতে হানা চাইল্ড রাইটস-পুলিশের, উদ্ধার ১৪ কিশোরী

Hanna-Child-Rights-Police-rescued-14-teenagers-in-a-sex-village

ঈশিতা সাহা : দিনহাটা শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে যৌনপল্লী। স্থানীয় এলাকার পাশাপাশি বাইরের রাজ্য থেকেও মহিলারা এখানে ঘর ভাড়া নেন। প্রায় ৩০০-৪০০ জন মহিলা এখানে দেহ ব্যবসার কাজের সাথে যুক্ত রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে ভিন রাজ্য থেকে নাবালিকাদের এনে জোর করে এখানে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হচ্ছে।

অভিযোগ পেয়ে পুলিশের দল আগেও অভিযান চালিয়েছে কিন্তু সঠিক ভাবে কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। শুক্রবার ফের ওয়েস্টবেঙ্গল প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দেয় যৌনপল্লীতে। ঘটনায় একাধিক বাড়ি থেকে ১৪ নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে কিছু মহিলা বাধা দিতে আসলে তাদের কেউ গ্রেফতার করা হয় ফলে ঘটনাটি কে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

দিনহাটা মহকুমা শাসক হিমাদ্রি সরকার বলেন, 'দিনহাটা যৌনপল্লীতে বাইরে থেকে নাবালিকাদের এনে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হচ্ছিল। এমন অভিযোগ পেয়ে এর আগে অভিযান চালিয়ে একাধিক নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরো কিছু নাবালিকা এলাকায় এভাবে রয়েছে, এই অভিযোগ থাকায় এদিন অভিযান চালানো হয় এবং বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে'।

Hanna-Child-Rights-Police-rescued-14-teenagers-in-a-sex-village

যৌনপল্লীতে দেহ ব্যবসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিন কয়েক আগেই পুলিশেরা অভিযান চালায়। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ না থাকায় যৌনকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় শিশু সুরক্ষা কমিশন পুলিশকর্মীদের। এর পরেই ওয়েস্টবেঙ্গল প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস এবং বিশাল পুলিশবাহিনী দিনহাটা যৌনপল্লীতে অভিযান চালালে চরম বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়।

এবারও বাধা দিতে আসেন কিছু মহিলারা। কিন্তু বিশাল পুলিশবাহিনীর ঢাকায় বিপাকে পড়তে হয় তাদের। এরপর উদ্ধার করা ১৪ নাবালিকাকে কুচবিহারের কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ সুপার কে কান্নান বলেন,'চাইল্ড রাইটস এর নির্দেশে ১৪ জন নাবালিকাকে হোমে রাখা হচ্ছে। পরে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।


Hanna-Child-Rights-Police-rescued-14-teenagers-in-a-sex-village


Post a Comment

Previous Post Next Post