রিয়া গিরি : ২১ শে জুলাই কে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতির পরিকল্পনা করতে চলেছে তৃণমূল সরকার, তা সবার কাছেই স্পষ্ট। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট ও তামিলনাড়ুর মত একাধিক রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনানো হবে জায়েন্ট স্ক্রিনে। এরমধ্যে তালিকাতে রয়েছে ত্রিপুরা ও। কিন্তু শহীদ দিবসের বক্তৃতা শুরু হবার আগেই,কারফিউ জারি করা হল ত্রিপুরায়।
কিন্তু কারফিউ জারি করায় ভাষণ শোনার অনুমতি মিললনা তৃণমূল অনুগামীদের। শুধু তাই নয়, জায়েন্ট স্ক্রিন বসাবার অনুমতির জন্য অনেক বাধা পেরোতে হয়েছে, সে রাজ্যের তৃণমূল কর্মীদের। ত্রিপুরায় কার্যত বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে দলের ভাঙন লেগেই ছিল, তা ২০২৪ এর ভোটে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যেই অগাস্টের প্রথমেই, ত্রিপুরার দিকে নজর রাখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কার্যত প্রথম থেকেই শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ত্রিপুরার প্রতি নজর ছিল সকলেরই। কিন্তু আচমকাই কারফিউ জারি করলো ত্রিপুরা সরকার।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ত্রিপুরাতে নতুন করে করোনা সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই কারণেই, দুটো থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে।তবে তৃণমূলের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল আগরতলা সহ বিভিন্ন জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিন বসাবার।কিন্তু কারফিউ জারি করায় কোনো জায়গা জায়েন্ট স্ক্রিন বসাবার কোনো অনুমতি মেলে জেলাশাসক এর তরফ থেকে। যদিও এই ব্যাপারে তৃণমূল সরকারের তরফ থেকে কোনো বিশেষ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বিজেপির ধারাবাহিক ভাঙ্গনকে কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল সরকার তা স্পষ্টই।