অম্লিতা দাস : চার ঘণ্টা পরেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে মহেশতলার ডাকঘর অঞ্চলের নারকেল তেলের কারখানার আগুন। মঙ্গলবার বিধ্বংসী আগুনে জ্বলে ওঠে কারখানা। ইতিমধ্যেই আগুনের ধোঁয়ায় অসুস্থ কারখানার পাঁচ কর্মী। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন তবে আগুন এখনও নেভেনি।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। আগুন নিয়ন্ত্রনে
আনতে রোবটের ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফোমের ব্যবহারও
করেছেন দমকলকর্মীরা। তারা জানিয়েছেন আগুন ছড়িয়ে পড়েছে কারখানার চারিদিকে, তপ্ত হয়ে
উঠেছে কারখানার দেওয়াল যা যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে
নারকেল তেল তৈরীর ওই কারখানায় করোনাকালে স্যানিটাইজারও তৈরি
করা শুরু হয়েছিল। আগুন লাগার কারণ হিসেবে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে মঙ্গলবার সকাল
১১তাই কারখানার তেলের ড্রামে আগুন লেগে ধেয়ে যায় স্যানিটাইজারের ড্রামেও। পর পর ড্রামে
আগুন লেগে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। ড্রাম গুলিতে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হতে থাকে।
অনেকেই অভিযোগ করেছেন কারখানায় অগ্নি নির্বাপনের কোনো যন্ত্র ছিল না। আগুন লেগে যাওয়ার সাথে সাথে এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে তা পাশের কারখানাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগেছে। দুর্ঘটনার সময় ওই কারখানায় প্রায় ১০জন কর্মী ছিল। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ বাহিনী ও দমকল বাহিনী। চার ঘণ্টা ধরে চলছে এই বিধ্বংস আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।