সূত্রের খবর, এলাকায়'সেজান জুস'কারখানায় আচমকাই আগুন লেগে যায়। সাততালা ওই কারখানাটির, নিচু তলার একটি ফ্লোরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে এবং পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভবনে। প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন সেখানে।আচমকা আগুনের থেকে বাঁচার জন্য ছাদ থেকে লাফ দেন অনেকেই। খাবার তৈরীর জন্য তেল ও অন্যান্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ২৪ ঘন্টা ধরে গোটা ভবন আগুনে জ্বলছে।ইতিমধ্যে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য কাজে লেগে পড়েছেন দমকল কর্মীরা। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে জানিয়েছেন, চারটে এম্বুলেন্সে করে আমরা এখনো পর্যন্ত ৫১ জনের মৃতদেহ পাঠিয়েছি।আমরা চতুর্থ তলা পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয়েছি, উপরে দুটি ফ্লোরে এখনো আগুন জ্বলছে, আমাদের কাজ এখনো সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যায়নি। অনেক লাশ শনাক্তকরন করার মতো অবস্থায় নেই, তাই সেগুলো ডিএনএ টেস্ট করার জন্য পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।